অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আ’লীগের ৮ম বারের মত সভাপতি হাসিনা, সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

1
photo-1477222776-2
সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলন শেষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। দ্বিতীয় দিন রবিবার বিকেলে কাউন্সিলরদের বিপুল সমর্থন নিয়ে ফের সভাপতি হলেন শেখ হাসিনা আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

এই নিয়ে ৮ম বারের মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতি হলেন।

আওয়ামী লীগের ২০ তম কাউন্সিল অধিবেশনের শেষদিনে পুরনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করেছেন কাউন্সিলররা। এর আগে দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধনী অনুমোদন করেছেন কাউন্সিলররা। গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবিত সংশোধনী উত্থাপন করেন গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটির আহ্বায়ক দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি।

পরে কাউন্সিল অধিবেশনের সভাপতি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করা হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য সাজানো হয়েছে। আপনাদের সম্মতি থাকলে হ্যাঁ বলে সমর্থন জানান। এ সময় কাউন্সিলররা সবাই দাঁড়িয়ে সমস্বরে হ্যাঁ বললে কণ্ঠভোটেই এ সংশোধনী অনুমোদিত হয়ে যায়।

রবিবার আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের এ কাউন্সিল অধিবেশন চলছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে।

এর আগে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বক্তব্য শেষে প্রথমে ঘোষণাপত্রের সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রস্তাবিত সংশোধনী উত্থাপন করেন ঘোষণাপত্র সংশোধন উপকমিটির আহ্বায়ক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।

গঠনতন্ত্রে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি বাড়িয়ে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়। প্রেসিডিয়াম সদস্য বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ আর সাংগঠনিক সম্পাদক ৮। দলের কার্যকরী কমিটির সদস্য ৭৩ থেকে বেড়ে ৮১-তে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৮০। বছরে অন্তত একটি সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সাধারণ সম্পাদক পদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও বিদায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন বিদায়ী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

১ টি মন্তব্য
  1. Farjana Nahid বলেছেন