অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে বৈশাখী টেলিভিশনের চার কর্মকর্তার বিচার শুরু

1
boisakhi-top20140713135641
.

চার দলীয় জোট সরকারের সময় অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী’র চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের শ্রম আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

বেআইনী ভাবে চাকুরীচ্যুতির অভিযোগে বৈশাখীর সাবেক ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এ মামলাটি দায়ের করেন।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের বিচারক মফিজুল ইসলাম আদালত বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের শুনানী শেষে শ্রম আইনের ২৯২,৩০৩ এবং ৩০৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করার নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম আদালতের আইনজীবি আশীষ কুমার দত্তের নামে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে তারা হলেন, বৈশাখী টেলিভিশনের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী টিপু আলম, বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী, মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলম রনি, চট্টগ্রামের অফিস প্রধান মহসিন চৌধুরী।

আদালতে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম শ্রম আদালতের জৈষ্ঠ্য আইনজীবি এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা, এডভোকেট সুখময় চক্রবর্তী, এডভোকেট আশিষ কুমার দত্ত, এডভোকেট জানে আলম, এডভোকেট সৌরভ দত্ত প্রমুখ।

আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এ কে এম মহসীন উদ্দিন চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর বৈশাখী টেলিভিশনের তৎকালীন ব্যুরো প্রধান ও সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসকে বেআইনি ভাবে চাকুরীচ্যুত করে বৈশাখী টেলিভিশন। চাকুরীচ্যুতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন হাসান ফেরদৌস।

ওই মামলায় ১৮জানুয়ারী ২০১৬ আদালত চাকুরীচ্যুতির আদেশ স্থগিত করেন। এ প্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারী বাদী আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে আবার চাকুরীতে পুর্ণবহালের আবেদন জানায়।

২৪ জানুয়ারী বৈশাখী টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বাদীর আবেদনটি গ্রহণ করলেও তাকে চাকুরীতে পূর্ণবহাল না করায় ২২ ফেব্রুয়ারী ফৌজদারী আইনে দ্বিতীয় শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সোমবার অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়া এবং মালিক পক্ষের অসৎ শ্রম আচরনের অভিযোগে দ্বিতীয় শ্রম আদালতে আরো একটি ফৌজদারী মামলা বর্তমানে বিচারধীন আছে।

 

১ টি মন্তব্য