অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল, হেফাজতের বিশাল সমাবেশ

5
ctg-pic-1
আন্দরকিল্লার মোড়ে হেফাজনের বিশাল সমাবেশ।

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর সরকারের লেলিয়ে দেয়া সেনা বাহিনী জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর লালদীঘির পাড় ও আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে এসব বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ctg-pic-mohiuddin-1
আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মায়ানমারে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিল।

আওয়ামী লীগের নগর সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ ও হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম পৃথক ভাবে এসব সমাবেশের আয়োজন করে।

জুমার নামাজের পর লালদিঘী জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী সেই অঞ্চলের আদিবাসী। তারা জন্মসূত্রে সে দেশেরই নাগরিক। মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে তাদের বাস্তুচ্যুত করছে তা মানবতা ও সভ্যতা বিরোধী অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখাছে এবং আন্তর্জাতিক বলয়ে এর সম্মানজনক সমাধান চায়। কোন ধরনের উস্কানী ছাড়াই এই মানবিক বিপর্যয় রোধকরতে হবে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের উদ্যোগী ভূমিকা পদক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।

????????????????????????????????????
.

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ত্রাণের নামে কেউ কেউ চাঁদাবাজী করছেন। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের ত্রান যুগিয়ে দেখভাল করছেন।

মায়ানমারে সামরিক জান্তা যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন করছে তা খুবই ন্যাক্কারজনক। তিনি অবিলম্বে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবী জানান। এ সময় “নারায়ের তকবীর আল্লাহু আকবর শ্লোগানে নেতাকর্মীরা রাজপথ প্রকম্পিত করে বিশাল মিছিল বের করে।

15215857_1823054311243429_1738351696_o
রাখাইন প্রদেশে মায়ানমার সামরিক জান্তার হামলা নির্যাতনের প্রতিবাদে হেফজতের বিশাল সমাবেশ।

এ দিকে আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জমার নামাজের পরপরেই বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজত ইসলামের নেতারা বলেন, মায়ানমারে মুসলিম নির্যাতন বন্দ করা না হলে বাংলার তোহিদী জনতা সীমান্তপাড়ি দিয়ে তার প্রতিশোধ নেবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মায়ানমার মুসলমানদের সাহায্য করতে কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত খুলে দেন। এসময় মাওলানা জুনায়েদ বাবু নগরী,মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহীসহ হেফাজত ইসলামের জেলা ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

৫ মন্তব্য
  1. Saiful Insaf বলেছেন

    বড্ড দেরি হয়ে গেল না? আন্দোলন শুরু করতে করতে তো নাফ নদীতে রোহিঙ্গাদের রক্তের বণ্যা বয়ে গেল।

  2. Salauddin Russel বলেছেন

    আসলে প্রাণপ্রিয় নেতা মহিউদ্দীন চৌধুরী সিংহের পুরুষত্ব অহবান চটৃলার

  3. Khazi Ibrahim Salem বলেছেন

    সুচি’র নোবল বাতিল করা হোক। মিয়ানমারে মুসলিম নিধন বন্ধ করা হোক এবং যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে এর বিচার করা হোক, জাতি সংঘের প্রতি অনুরোধ রহিল সামরিক হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হোক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে।

  4. Saiful Insaf বলেছেন

    মুখের কথায় কাজ হবে বলে মনে হয় না। সামরিক বাহিণী কি সুচির কথা শুনে? এখনো মায়ানমারের এক চতুর্থাংশ সংসদের আসন সামরিক বাহিণীর নস্ট মানুষদের জন্য বরাদ্দ। সুচি অসহায় সেটা ও বলছে না। সুচির অসহায়ত্ব তার জন্য কাল হতে বাধ্য। বাংলাদেশ ভারত জাতীসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সনদে স্বাক্ষর করে ও রাখাইনদের গ্রহণ না করায় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনায় ব্যাপক ভাবে সমালোচিত। ৭১ এ ভারত যদি আমাদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ না করতো তাহলে আমাদের দুর্দশা কি আরো বাড়তো না? নিজেরা ভূক্তভোগী হয়ে অন্যের প্রতি সহানুভুতিশীল না হওয়ায় প্রমাণ করে আমরা অনুভুতিহীন,সভ্যতাহীন,অমানবিক প্রাণীতে পরিণত হয়েছি।

  5. st solaiman বলেছেন

    mon thake doa kori.Allah jeno tadher rokkha koren.amin