অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নান্দনিকের “বিজয় সন্ধ্যায়” মাতলো নগরী

0

ইমাম হোসাইন রাজু, চট্টগ্রাম:

.

চট্টগ্রামের ঐতিয্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়ের আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে “বিজয়ের ধ্বনী” সন্ধ্যায় শিল্পীদের গানে মুগ্ধ হয়ে মাতলো চট্টগ্রামের গান প্রিয় ব্যক্তিরা।

বিশিষ্ট আবৃত্তিকার সাগর বায়োজিদের উপস্থাপনায় ও নান্দনিকের পরিচালক নাট্যকার কবি মোস্তফা মাহথিরের সভাপতিত্বে নগরীর মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত “বিজয়ের ধ্বনী” সন্ধ্যার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ডা. স ম রফিক।

স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের জাগরনের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়ের সংগীত শিল্পীরা। এছাড়াও বিজয় ধ্বনীর প্রোগ্রামে  বিজয়ের বিভিন্ন গান পরিবেশনা  করেন আমন্ত্রিত সংগীত একাডেমি ডাকহুক সংগীত একাডেমি, চট্টলা মিউজিক, রিদম কালচারার একাডেমি এবং দুর্নিবার শিল্পী গোষ্ঠী।

.

নোঙর তোলে তোলে, সময়যে হলো হলো। মাঝি নাও চাইর‌্যা দে, ও মাঝি পাল উরাইয়্যা দে। তীর হারা ঐ ঢেওয়ের সাগর পাড়ি দিবরে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাইতে পারিনি বলে, নাইরে আমার দুখের কোন শেষ। মা গো ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে। ও নদীরে তুই যাস কোথায়রে, কলকলাইয়্যা চলচলাইয়্য কোন সাগরে। পলাশ ঢাকা কোকির ডাকা আমার এ দেশ ভাইরে, ধানের মাঠে ঢেউ খেলানো, এমন কোথাও নাইরে জনপ্রিয় এসব গান পরিবেশন করেন অনুষ্ঠনের শিল্পীরা।

গান পর্ব শেষে নান্দনিকের সাবেক পরিচালক শাহরিয়ার শরিফের রচনা ও নির্দেশনায়  ৪থর্ বারের মত “খন্ড চিত্র৭১” নাটকটি মঞ্চায়ন করেন নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়ের অগ্রজ নাট্য কর্মীরা।  মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি চিত্র তুলে ধরেন খন্ড চিত্র ৭১ নাটকটিতে।

.

নাটকটির সংক্ষিপ্ত  কাহিনি: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন বজলু মিয়া নামের এক বৃদ্ধ রাতে তার ছেলেকে যুদ্ধে পাঠায়। এর পর কিছু মুক্তিযুদ্ধা কিশোর পাক বাহিনীর তাড়া খেয়ে বজলু মিয়ার কাছে এসে আশ্রয় নেয়। বজলু মিয়া চায় দেশের স্বাধীনতা। যুদ্ধ চলাকালীন কোন একদিন দেশের কুখ্যাত রাজাকার নেজাম উদ্দিন ভালো মানুষের রুপ নিয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে ভুল বুঝিয়ে  বৃদ্ধ বজলু মিয়কে রাজাকার আখ্যা দিয়ে খুন করান। পরে রাজাকার নেজাম উদ্দিন বজলু মিয়ার ছেলেকে ধরে নিয়ে পাকিস্থানি পাক হায়নাদের দিয়ে খুন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা যখন মুখোশধারী নেজাম উদ্দিন রাজাকারের সকল বিষয়ে খবর পায় ঠিক তখনি তারা পাকিস্থানি ক্যম্পে হানা দেয় এবং রাজাকার নেজাম উদ্দিন ও পাকিস্থানি কমান্ডারকে খুন করে দেশের স্বাধীনতা ফিরে আনেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রংকন প্রতিযোগীতা।