অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান ইলিয়াছকে কারাগারে প্রেরণ

2
আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান ইলিয়াছ।

পিস্তল উচিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাদের উপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান ইলিয়াছকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ (১৮ জানুয়ারী) বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-৩ নাজমুল হোসেনের আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি সাবেক পিপি আবুল হাসেম আসামী রোটারিয়ান ইলিয়াছের জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্টার আফরোজা পাঠক ডট নিউজকে জানান, গত ১৫ জানুয়ারী ইলিয়াছ আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে ৩ দিনের েজন্য জামিন দেন। আজ নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হলে আমরা বাদী পক্ষ তার জামিন বাতিলের আবেদন করি। এসময় দুপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত আসামী ইলিয়াছের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য কাঙ্খিত টেন্ডার না পেয়ে নগর আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান ইলিয়াছ গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে বারেক বিল্ডিং এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন ওয়ার্কশপে গিয়ে পিস্তল উচিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক ও এক্সিয়েন মহিউদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। গুরুত্বর আহত এমদাদুল হককে বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা বন্দর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

এনিয়ে রোটারিয়ান ইলিয়াছের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

একাধিক সুত্র জানায়, কথিত রোটারিয়ান ইলিয়াছ বন্দরের মেরিন বিভাগের ঠিকাদার। তিনি বালু সরবরাহ থেকে শুরু করে ছোটখাটো মেরামত, যন্ত্রাংশ সরবরাহের কাজ করেন। রোটারিয়ান ইলিয়াছ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।

জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দর রক্ষা পরিষদের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে রোটারিয়ান ইলিয়াছের। এ সময় মহিউদ্দিনের আস্থা অর্জন করায় তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন। এই পদ নিয়ে কর্ণফুলী নদীর বালু উত্তোলনের কাজ বাগিয়ে নেন ইলিয়াছ। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর বন্দর রক্ষা পরিষদের নেতার পদ থেকে ইলিয়াছকে বহিষ্কার করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এর আগে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ইলিয়াস বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছবির সঙ্গে নিজের ছবিসহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন।

পরিষদ থেকে বহিষ্কারের পর ইলিয়াছ কিছুদিন চুপ থাকেন। এরপর ধীরে ধীরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের ছায়ায় আসতে শুরু করেন। সিটি নির্বাচনে আ জ ম নাছিরের জয়লাভের পর আবারও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তিনি শুভেচ্ছা জানান।

অস্ত্র উচিয়ে বন্দর কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালালো লীগ নেতা ইলিয়াছ

২ মন্তব্য
  1. নাজমুল চাঁটগাঁইয়া বলেছেন

    আরো কয়েকটার ঢেঅকা দরকার। নইলে আওয়ামীলীগ নিজেই অস্তিত্বের হুমকিতে পড়বে >:(

  2. Ziaul Huq Zillu বলেছেন

    M A Hannan Shah Masud Parves