মাইজভাণ্ডার দরবারে লাখো ভক্তের পদচারণায় মুখরিত
আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল, গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্সূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডার (কঃ) এর ১১১তম ওরস শরিফ আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সোমবার।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলে দেশ বিদেশের লাখো ভত্তের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এলাকা।
বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিপালিত হচ্ছে। এর মধ্যে আগামীকাল বাদ ফজর রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে ওরশ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
রাত সাড়ে বারোটায় কেন্দ্রিয় মিলাদ মাহ্ফিল। আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভা-ারী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। ওরশের দিন শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ১০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে দশম দিনে ‘ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত দুর্লভ চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী’ করবে।
এদিকে বিশ্বের অন্যতম মহাসম্মিলন এ ওরশ শরিফে যোগ দিতে ইতোমধ্যে এশিয়া, ইউরোপ ও আরবের বিভিন্ন রাষ্ট্রসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিপুলসংখ্যক ভক্ত-জায়েরিনের উপস্থিতিতে পুরো মাইজভান্ডার শরিফ এখন লোকে লোকারণ্য।
আশেক ভক্তের সালাত আদায়, মিলাদ, দরূদ ও কুরআন শরিফ পাঠ এবং আল্লাহ্-আল্লাহ্ জিকিরের ধ্বনিতে মুখরিত দরবার প্রাঙ্গন। এদিকে উরস শরিফ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট বিশেষ রেল ব্যবস্থা, বিআরটিসি বাস সার্ভিস প্রতি ঘণ্টায় মুরাদপুর থেকে মাইজভান্ডার শরিফে বিশেষ ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ, সাদা পোশাক, র্যাব, আনসার ও বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। ভক্ত-জায়েরিনদের ইবাদত-বন্দেগী ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।