অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আড়াই বছরে জাতীয় দলের ৩ ক্রিকেটার গ্রেফতার!

0
রুবেল হোসেন, শাহাদত হোসেন ও আরাফাত সানি।

ক্রমাগত উত্থানের পাশাপাশি একের পর এক কলঙ্কের দাগও লাগছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। গত তিন বছরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার। রুবেল হোসেনকে দিয়ে শুরু করে, শাহাদত হোসেন এবং আজ রবিবার এতে সর্বশেষ সংযোজন স্পিনার আরাফাত সানি।

কিন্তু কেন এই অধঃপতন? তারকাখ্যাতিই কি তাদের নিম্নগামী করছে? নাকি এতে অন্য কোনো ব্যাপার আছে? ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে গ্রেফতার হন জাতীয় দলের গতি তারকা রুবেল হোসেন। নাজনীন আক্তার হ্যাপী নামের একজন অখ্যাত মডেলের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

হ্যাপি ও রুবেল।

হ্যাপীর অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে রুবেল। এরপর জামিন পেয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যান রুবেল। বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার অন্যতম কারিগর তিনি। মডেল হ্যাপীও শেষ পর্যন্ত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। রুবেল বর্তমানে নিউজিল্যন্ড সফরে আছেন। এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ক্রিকেটার শাহাদত হোসেনের বাসার শিশু গৃহকর্মীকে মারাত্মক জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।

গৃহকর্মী শিশু ও শাহাদাত।

শিশুটির ভাষ্য ছিল, ক্রিকেটার শাহাদ্ত এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য তাকে প্রতিদিন নির্যানত করত। ক্রিকেটার শাহাদাত রুটি বানানোর বেলন দিয়ে বারবার পিটিয়ে পরে আঘাতের স্থানে বরফ লাগাতেন বলে গৃহকর্মী শিশুটি জবানবন্দিতে আদালতে জানিয়েছিল। এরপর শাহাদত ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শাহাদত অনেকদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু পরে আদালতে শিশুটি তার সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে শাহাদত দম্পতি মুক্তি পান।

আরাফাত সানি।

শাহাদত বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারেকাছে নেই। চলতি বছরের প্রথম মাসেই আবার সংবাদ শিরোনাম হলেন আর এক তারকা ক্রিকেটার। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকা স্পিনার আরাফাত সানিকে তার সাবেক বান্ধবীর করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সাবেক বান্ধবীর সাথে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেছেন সানি।

এছাড়া ইনবক্সেও আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিপিএলের চতুর্থ আসরেও জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার পেসার আল-আমিন হোসেন এবং ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধেও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য দুজনকে জরিমানাও করা হয়। সাব্বির বর্তমানে নিউজিল্যান্ড সফরে থাকলেও আল-আমিনকে স্কোয়াডেই নেওয়া হয়নি।