পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ বরণের নামে বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি নিয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা, মুখে উল্কি আঁকা এবং নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণসহ সকল অনৈসলামিকতা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকার জন্যে মুসলিম জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঈমান-আক্বীদা ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।
একই সাথে চলতি বছরের পহেলা বৈশাখ দেশের সকল সরকারী স্কুল কলেজে মঙ্গল শোভাযাত্রার ন্যায় ঈমান বিধ্বংসী আগ্রাসী সংস্কৃতির আয়োজনকে শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাধ্যতামূলক করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঈমান-আক্বীদা ও ইসলাম বিরোধী এই নির্দেশনা প্রত্যাহারেরও দাবী জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের এ নেতা।
তিনি বলেন, মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে ঈমান বিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনোই বাধ্য করতে পারে না। এটা নাগরিকদের অধিকার রক্ষার সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার ঘোরতর বিরোধী। তিনি বলেন, আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণ করার আয়োজনে তো চুপ থাকার সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো আরো বলেন, বর্ষবরণের নামে মূলতঃ মুসলমনাদের ঈমান-আক্বীদা বিরোধী ভিনদেশী হিন্দুত্ববাদি ও আগ্রাসী মনুবাদ সাংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে যে র্যালি বের করা হয়, এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।
তিনি বলেন, মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ৯২ ভাগ মুসলমানের সন্তানকে কী করে শিক্ষা অধিদপ্তর ঈমান বিধ্বংসী মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ দিতে পারে! এটা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রছাত্রীর ঈমান ধ্বংস করার আয়োজন ছাড়া কিছু নয়। তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি মানে যেসব আচরণ ও রীতি দেশের মানুষের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ পায়। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তর পহেলা বৈশাখ সারা দেশের কোমলমতি লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রদেরকে এমন এক সংস্কৃতি পালনে বাধ্য করতে চাচ্ছে, যেই সংস্কৃতির রীতি ও ধরণ সম্পর্কে দেশের ৯০ মানুষের কোনই ধারণা নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা নেই- এমন রীতি দেশীয় সাংস্কৃতি হয় কী করে?
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, বর্ষবরণের উৎসবের নামে নারী-পুরুষ পরস্পরের মুখে উল্কি আঁকা, জীবজন্তুর মুখোশ পরা, নারীরা লালপাড়ের সাদা শাড়ি পরিধান করে কপালে শাখা-সিঁদুর লাগিয়ে সম্মিলিত উলুধ্বনি দেয়া, এগুলোর সবই হিন্দু ধর্মীয় রীতি। হিন্দুসম্প্রদায়ের মানুষ এসব পালন করতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের জন্যে এসব পালনের কোনই সুযোগ নেই। তাছাড়া পান্তা-ইলিশের নামে যে সংস্কৃতির চর্চা এখন চলে থাকে, তাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোন অংশ নয়, বরং এটা গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রতার সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। জাতীয় সংস্কৃতি ও আনন্দ হতে হবে, যেটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামাজিক রীতি ও নীতি-আদর্শকে ফুটিয়ে তোলে এবং যে আনন্দে প্রায় সকলেই শরীক হতে পারে। হেফাজত নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন রেখে বলেন, বাঘ-ভাল্লুক ও সাপ-বিচ্চুর মঙ্গল শোভাযাত্রা কার প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পান্তা-ইলিশে দেশের কত ভাগ মানুষ শরীক হওয়ার সক্ষমতা রাখে?
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পয়লা বৈশাখের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে নারী সমাজের উপর সংঘবদ্ধ যৌন-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, নারী-পুরুষের অবাধ চলাচলের বহুমুখী ক্ষতিকর দিক রয়েছে। শুধু ২০১৫ সাল নয়, এর আগেও বহুবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও নারীদের সম্ভ্রমহানীর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তাই মা-বোনদের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন বর্ষবরণের নামে ইসলাম বিরোধী বিজাতীয় এসব অনুষ্ঠানে শরীক হওয়া থেকে বিরত থাকেন। ঈমান-আক্বীদার প্রশ্ন ছাড়াও এসব অনুষ্ঠানে নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তাগত নানা ক্ষতিকর আশংকা রয়েছে। কারণ, মানুষের চেহারা ও বেশ দেখে বুঝার উপায় নেই যে, কার ভেতরে কোন চিন্তা কাজ করছে। এ কারণেই ইসলাম অনাত্মীয় নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ অনুমোদন করে না এবং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যেই পর্দার বিধান জারি করেছে।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার নামে দেশে দৃশ্যতঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শিকভাবে জাতিকে ধর্মহীন করার উদ্যোগই চলছে। বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৌত্তলিক কালচার, বেহায়াপনা ও নগ্নপনা এখন রীতি হয়ে ওঠছে। ঘরে, বাইরে, রাস্তায়, মার্কেটে, জনমাগমে, টেলিভিশন, সিনেমায় সর্বত্রই এখন ভোগ-বিলাসিতা ও যৌনউদ্দীপক আচরণের ছড়াছড়ি। কথায় কথায় উলামা-মাশায়েখ, ইসলামী শিক্ষা এবং দাড়ি-টুপী ও হিজাবধারীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, কটূক্তি, অপবাদ ও হেয়প্রতিপন্না করা হচ্ছে । এসবের কুফল যে কতটা ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে, গত বছরের পহেলা বৈশাখের ঘটনায় আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে।
বিবৃতিতে আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ঈমান-আক্বীদা বিরোধী শিরকী এসব প্রথা বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একদিকে ধর্মহীনতার চর্চা, নগ্নপনা, বেহায়াপনা ও বিজাতীয় ঈমান বিরোধী সংস্কৃতির প্রসার এবং অন্যদিকে ইসলামী শিক্ষা ও আলেম সমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কটূক্তি সমান্তরালভাবে চলছে। জাতি হিসেবে মূলতঃ আমাদেরকে কোন দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা প্রত্যেকেরই গভীরভাবে ভাবা দরকার। #
Right…..!!
Right…..!!
Right…..!!
10000….%Right…
10000….%Right…
10000….%Right…
‘ বাবুনগরী ‘ একটা হিন্দু শব্দ।
সোনাদিয়া কিংবা গাইবান্দাবাসীদের কি টাইটেল হবে চিন্তা করে কুল পাইতেছিনা ?
‘ বাবুনগরী ‘ একটা হিন্দু শব্দ।
সোনাদিয়া কিংবা গাইবান্দাবাসীদের কি টাইটেল হবে চিন্তা করে কুল পাইতেছিনা ?
‘ বাবুনগরী ‘ একটা হিন্দু শব্দ।
সোনাদিয়া কিংবা গাইবান্দাবাসীদের কি টাইটেল হবে চিন্তা করে কুল পাইতেছিনা ?
সাগর কামালাতো একটি ইসলামীক নাম। সে নাম ধারণ করে তুই ইসলামের জন্য কি করলি। তোর নামটা তোর চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাইলে কি আগে তোর নামটা পাল্টানো দরকার না.. কি বলিস দোস্ত..?
সাগর কামালাতো একটি ইসলামীক নাম। সে নাম ধারণ করে তুই ইসলামের জন্য কি করলি। তোর নামটা তোর চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাইলে কি আগে তোর নামটা পাল্টানো দরকার না.. কি বলিস দোস্ত..?
সাগর কামালাতো একটি ইসলামীক নাম। সে নাম ধারণ করে তুই ইসলামের জন্য কি করলি। তোর নামটা তোর চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাইলে কি আগে তোর নামটা পাল্টানো দরকার না.. কি বলিস দোস্ত..?
ফেসবুক ব্যবহার করা ঈমান-আক্বিদা ও ইসলামী আদর্শের ঘোরতর বিরোধী।
আগে নিজে ইসলামী আদর্শ অনুসরন করুন,এরপর অন্যের বে-দাত কাজের সমালোচনা করুন।
ফেসবুক ব্যবহার করা ঈমান-আক্বিদা ও ইসলামী আদর্শের ঘোরতর বিরোধী।
আগে নিজে ইসলামী আদর্শ অনুসরন করুন,এরপর অন্যের বে-দাত কাজের সমালোচনা করুন।
ফেসবুক ব্যবহার করা ঈমান-আক্বিদা ও ইসলামী আদর্শের ঘোরতর বিরোধী।
আগে নিজে ইসলামী আদর্শ অনুসরন করুন,এরপর অন্যের বে-দাত কাজের সমালোচনা করুন।
ইসলাম হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন। আর এইসব ফাউলনগরীরা ইসলাম বেঁচে ভাত খাওয়া পর্যন্ত নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেই ভাল। ৭১ এ এরা ইসলাম হেফাজত করতে গিয়ে কি করেছে তা সবাই জানে।
ইসলাম হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন। আর এইসব ফাউলনগরীরা ইসলাম বেঁচে ভাত খাওয়া পর্যন্ত নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেই ভাল। ৭১ এ এরা ইসলাম হেফাজত করতে গিয়ে কি করেছে তা সবাই জানে।
ইসলাম হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন। আর এইসব ফাউলনগরীরা ইসলাম বেঁচে ভাত খাওয়া পর্যন্ত নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেই ভাল। ৭১ এ এরা ইসলাম হেফাজত করতে গিয়ে কি করেছে তা সবাই জানে।
বাবুনগরীরে গোণার টাইম নাই।
বাবুনগরী সাহেব যা বলেছেন, উনার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক। এই ব্যাপারে অসাবধানতাবশত কোন বিতর্ক তৈরির জন্য মাজর্না প্রার্থনীয়।
বাবুনগরী সাহেব যা বলেছেন, উনার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক। এই ব্যাপারে অসাবধানতাবশত কোন বিতর্ক তৈরির জন্য মাজর্না প্রার্থনীয়।
বাবুনগরী সাহেব যা বলেছেন, উনার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক। এই ব্যাপারে অসাবধানতাবশত কোন বিতর্ক তৈরির জন্য মাজর্না প্রার্থনীয়।
‘কামাল’ একটা ফার্সি শব্দ । সাইফুল একটা আরবী শব্দ তদ্রূপ নাঈম’ও। কিন্তু সত্য হচ্ছে কোন মানুষের নাম কোন ধর্ম থেকে আসেনি।পৃথিবীর সব মানুষের নাম পৃথিবীর কোন না কোন ভূখণ্ডের বা অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোন ভাষা থেকেই এসেছে। ‘আরবী’ কোন ধর্ম নয়, একটি ভাষার নাম আরবী । প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা- চেতনা তার নিজস্ব ভৌগোলিক অবস্থানের কৃষ্টি থেকেই জাগ্রত হয়। আরবের সংস্কৃতি আর বাংলা অঞ্চলের সংস্কৃতি এক কখনোই ছিল না এবং কখনোই একই রকম হবে না। নৃতত্ত্বগতভাবে বাংলাদেশ এবং আশেপাশের ভূখণ্ড নানা ধরনের কৃষ্টি সভ্যতাকে, নানা ধর্মের আচার আচরণকে ধারণ করেই বিবর্তিত হতে হতে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে । হাজার হাজার বছর ধরে প্রবহমান বাংলার এই সভ্যতার বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারাই সকল ধর্মের শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু! এরাই সেই জঙ্গিগোষ্ঠী , এরাই জামাত-হেফাজত! এরাই একাত্তরেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল!
সরি ভাইজান, নামের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য সঠিক বলে মেনে নিতে পাচ্ছিনা। নাম যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে না আসতে তাহলে কামাল, সা্ইফুল, নঈম এসব নাম আপনার আমার হতো না। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই আমাদের নাম এসব শব্দ হয়েছে। কোন হিন্দু বৌদ্ধ কিন্তু কামাল সা্ইফুল নঈম নাম রাখেবে না। তেমনি, কোন মুসলমানও বাসু জলদাস, সুপল বডুয়া নাম রাখবে না। নাম রাখতে প্রত্যেক ধমীয় দৃষ্টিভঙ্গি খোঁজে।
আমাদের কোন খলিফার নাম ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর পরিবর্তন করা হয়নি। এমনকি নবী (স:) এর নামও নয়। শুধু বাংলাদেশের কিছু পাকিপন্থি হুজুরদের দেখি বাংলার ব্যপারে প্রতিক্রীয়াশীল।
বকচ!!
‘কামাল’ একটা ফার্সি শব্দ । সাইফুল একটা আরবী শব্দ, তদ্রূপ নাঈম’ও । কিন্তু সত্য হচ্ছে কোন মানুষের নাম কোন ধর্ম থেকে আসেনি। পৃথিবীর সব মানুষের নাম পৃথিবীর কোন না কোন ভূখণ্ডের বা অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোন ভাষা থেকেই এসেছে। ‘আরবী’ কোন ধর্ম নয়, একটি ভাষার নাম আরবী । প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা-চেতনা তার নিজস্ব ভৌগোলিক অবস্থানের কৃষ্টি থেকেই জাগ্রত হয়। আরবের সংস্কৃতি আর বাংলা অঞ্চলের সংস্কৃতি এক কখনোই ছিল না এবং কখনোই একই রকম হবে না। নৃতত্ত্বগতভাবে বাংলাদেশ এবং আশেপাশের ভূখণ্ড নানা ধরনের কৃষ্টি সভ্যতাকে, নানা ধর্মের আচার আচরণকে ধারণ করেই বিবর্তিত হতে হতে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে । হাজার হাজার বছর ধরে প্রবহমান বাংলার এই সভ্যতার বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারাই সকল ধর্মের শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু! এরাই সেই জঙ্গিগোষ্ঠী , এরাই জামাত-হেফাজত! এরাই একাত্তরেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল!
Saiful Islam Shilpi
সরি ভাইজান, নামের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য সঠিক বলে মেনে নিতে পাচ্ছিনা। নাম যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে না আসতে তাহলে কামাল, সা্ইফুল, নঈম এসব নাম আপনার আমার হতো না। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই আমাদের নাম এসব শব্দ হয়েছে। কোন হিন্দু বৌদ্ধ কিন্তু কামাল সা্ইফুল নঈম নাম রাখেবে না। তেমনি, কোন মুসলমানও বাসু জলদাস, সুপল বডুয়া নাম রাখবে না। নাম রাখতে প্রত্যেক ধমীয় দৃষ্টিভঙ্গি খোঁজে।
আমাদের কোন খলিফার নাম ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর পরিবর্তন করা হয়নি। এমনকি নবী (স:) এর নামও নয়। শুধু বাংলাদেশের কিছু পাকিপন্থি হুজুরদের দেখি বাংলার ব্যপারে প্রতিক্রীয়াশীল।
বকচ!!
‘কামাল’ একটা ফার্সি শব্দ । সাইফুল একটা আরবী শব্দ, তদ্রূপ নাঈম’ও । কিন্তু সত্য হচ্ছে কোন মানুষের নাম কোন ধর্ম থেকে আসেনি। পৃথিবীর সব মানুষের নাম পৃথিবীর কোন না কোন ভূখণ্ডের বা অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোন ভাষা থেকেই এসেছে। ‘আরবী’ কোন ধর্ম নয়, একটি ভাষার নাম আরবী । প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা-চেতনা তার নিজস্ব ভৌগোলিক অবস্থানের কৃষ্টি থেকেই জাগ্রত হয়। আরবের সংস্কৃতি আর বাংলা অঞ্চলের সংস্কৃতি এক কখনোই ছিল না এবং কখনোই একই রকম হবে না। নৃতত্ত্বগতভাবে বাংলাদেশ এবং আশেপাশের ভূখণ্ড নানা ধরনের কৃষ্টি সভ্যতাকে, নানা ধর্মের আচার আচরণকে ধারণ করেই বিবর্তিত হতে হতে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে । হাজার হাজার বছর ধরে প্রবহমান বাংলার এই সভ্যতার বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারাই সকল ধর্মের শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু! এরাই সেই জঙ্গিগোষ্ঠী , এরাই জামাত-হেফাজত! এরাই একাত্তরেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল!
Saiful Islam Shilpi
সরি ভাইজান, নামের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য সঠিক বলে মেনে নিতে পাচ্ছিনা। নাম যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে না আসতে তাহলে কামাল, সা্ইফুল, নঈম এসব নাম আপনার আমার হতো না। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই আমাদের নাম এসব শব্দ হয়েছে। কোন হিন্দু বৌদ্ধ কিন্তু কামাল সা্ইফুল নঈম নাম রাখেবে না। তেমনি, কোন মুসলমানও বাসু জলদাস, সুপল বডুয়া নাম রাখবে না। নাম রাখতে প্রত্যেক ধমীয় দৃষ্টিভঙ্গি খোঁজে।
আমাদের কোন খলিফার নাম ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর পরিবর্তন করা হয়নি। এমনকি নবী (স:) এর নামও নয়। শুধু বাংলাদেশের কিছু পাকিপন্থি হুজুরদের দেখি বাংলার ব্যপারে প্রতিক্রীয়াশীল।
বকচ!!
পাগলের মত কথা বলস কেন.. খলিফার এবং নবী রাসূল (স.) নামগুলো কি হিন্দু বৌদ্ধদের নাম নাকি.. আরবী ভাষায় যেহেতু কোরআন নাজিল হয়েছে সেহেতু সবাই আরবের ভাষাকেই ইসলামী ভাষা হিসেবে জানে। এখানে নবী রাসুলের নাম পরিবর্তনের প্রশ্ন আসবে কেন.. ? বরং তোর নিজের নামটাও তো আরবী। এখন পারলে তোর নামটা পাল্টে ফেল। একটা হিন্দুয়ানী নাম রাখ। যেহেতু ইসলামী ধর্মের ব্যাপারে তোর এলার্জি। .. Sagar Kamal
ইসলামি ভাষা আবার কি? মাতৃভাষাকেই তো ইসলামে সবার জন্য নেয়ামত ঘোষনা করা হয়েছে! ইসলাম গ্রহনের আগে খলিফারা কি মুসলমান না বিধর্মি ছিল?
সব ভাষায় কোরআন নাজিল হয়নি । একটি নির্দিষ্ট ভাষায় নাজিল হয়েছে যেটি আরবেব নিজস্ব ভাষা।
তাহলে ইসলাম শুধু আরবদের জন্য?
কোরআন অারবী ভাষায় নাজিল হয়েছে এটাও কি তু্ই অস্বিকার করিস..? এ সাধারণ বিষয়টা নিয়ে যে প্যাচায় তার সাথে আমি আর কথা বলতে চা্ই না। এখানে কথা হচ্ছে ভাষা নিয়ে কার জন্য নাজিল হয়েছে সে বিষয় নয়।
বৈশাখ দিচ্ছে ডাক মৌলবাদ নিপাত যাক
বৈশাখ দিচ্ছে ডাক মৌলবাদ নিপাত যাক আগাবাদ জিন্দাবাদ 😛