অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ভারত

0
.

ভারতের আলোচিত ইসলামি প্রচারক ও টিভি বক্তা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মুম্বাই আদালত। মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় বারবার তলবের পরও হাজির না হওয়ায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদানুযায়ী, ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও জাকির নায়েকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি রুপির অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে এগুলোর মাধ্যমে ওই এনজিওর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তর করতেন বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করে আসছেন।

এ সংক্রান্ত মামলায় বারবার তলবের পরও হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মুম্বাই আদালত।

জাকির নায়েক বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিচারিক কার্যক্রমে সহায়তার কথা বলে জাকির নায়েককে দেশে ফেরাতে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ভারত।

দেশটির গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যে থাকা বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় জাকিরকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।

১৯৬৫ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া জাকির নায়েক কিষানচাঁদ চেলারাম কলেজের পর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিষয়ে পড়ালেখা করেন। পরে বিওয়াইএল নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালেও তিনি লেখাপড়া করেন।
১৯৮৭ সালে ইসলামী বক্তা আহমেদ দিদাতের সংস্পর্শে আসেন নায়েক। এর কয়েকবছর বাদে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করেন ধর্ম প্রচারের কাজ।

তার কিছু বক্তব্যকে জঙ্গিবাদের প্রতি তার সমর্থন হিসেবে চিহ্নিত করেন অনেকে; তরুণদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে ভেড়ানোর অভিযোগে জাকির নায়েকের এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ।
ভারতের কয়েকজন মুসলমান পণ্ডিত জাকির নায়েককে ‘সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায় ওহাবি মতবাদ প্রচারকারী’ হিসেবে সন্দেহের চোখে দেখেন।

অন্যদিকে সৌদি আরব সরকার নায়েককে ‘ইসলামের সেবক’ বিবেচনা করে ২০১৫ সালে ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’দেয়।

ভারতের আল্লামা সাইয়্যিদ খালিক সাজিদ বোখারী কয়েক বছর আগে ড. জাকির নায়েকের বিপক্ষে একটি বই লেখার পর বাংলাদেশেও হক্কানি আলেমরা তার সমালোচনায় মুখর হন।

গত বছর ১ জুলাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার জড়িতদের মধ্যে অন্তত দুজন জাকির নায়েকের মতো ইসলামী বক্তাদের অনুসরণ করতেন বলে অভিযোগ ওঠার পর নতুন করে আলোচনায় আসেন জাকির নায়েক, যিনি পিস টিভির ইসলামী বক্তা ছিলেন।

উগ্রবাদী বক্তব্য প্রচারসহ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ওই সময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারত সরকার। তখন সৌদি আরবে থাকা এই টিভি বক্তা এরপর আর ভারতে ফেরেননি।