“নাছিরকে দেখে গরম মহিউদ্দিন নরম হয়ে গেলেন”
মাস জুড়ে পরস্পরের প্রতি হুঙ্কার, বাকযুদ্ধ এবং নানা বিতর্ক চলাবস্থায় দুই নেতা যখন একসঙ্গে সমাবেশে ঘোষণা দিলেন সঙ্গত কারণের নগরবাসী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা চরম উৎকণ্ঠা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশ নিয়ে।
কিন্তু সবার সে ধারণা এবং আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এক সঙ্গে হাতে হাত রেখে সমাবেশে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ সহনশীল বক্তব্য রাখেলেন ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিন।
নাছিরকে সামনে পেয়ে মহিউদ্দিনের গরম বক্তব্য শেষ পর্যন্ত নরম হয়ে গেলো
সোমবার বিকালে নগরীর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে দলের কর্মসূচিতে এক সঙ্গে ্উপস্থিত হয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়া দুই নেতা এক সঙ্গে বক্তব্য রাখার পর আপাততে দীর্ঘ দিনের মত বিরোধের কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে মঞ্চে বসে থাকা মেয়র নাছিরকে উদ্দেশ্য করে মহিউদ্দিন বলেন “নাছির ভাই ইক্কে আইয়ূন” বলেই তাকে কাছে টেনে নেন।
সাংবাদিকদের ভিডিও চিত্রে ধরা পড়েছে- নাছিরকে কাছে ঢেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী তার পাশে থাকা এক কমীকে ঘুষি মেরে সরিয়ে দেন।
বক্তব্যের শেষ দুই নেতার ঐক্যের ঘোষণায় স্বস্তি নেমে এসেছে তাদের অনুসারীদের মধ্যে। এরপরই পাশে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে মহিউদ্দিনের ‘নেতৃত্বে’ কাজ করার ঘোষণা দেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র নাছির।
সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা এবং চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ ও নগরবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি দলের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনকে সহযোগিতা করবো। এই প্রশ্নে আমাদের মধ্যে দৃষ্টি ভঙ্গিকৃত কোন ভিন্নতা নেই। তবে মহল বিশেষ দলকে অজনপ্রিয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমি লাঠি হাতে নিয়েছি কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতীকী লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে লড়াইয়ের জন্য উদ্ধুদ্ধ করেছি মাত্র।
তিনি বলেন, বক্তব্য দেয়ার সময় আমি অনেক কিছু বলেছি। কেন বলেছি সেটা আজকে না-ই বা বললাম। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে চলব। ‘আমরা একই ঘরে আছি। পদবির জন্য প্রতিযোগিতা হতে পারে। ভেতরে অনেক কিছু থাকতে পারে। তার অর্থ খুনোখুনি নয়, মারামারি নয়’।
মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন এই লক্ষ্যে পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদেরকে দৃষ্টিভঙ্গিগত বিভেদ ভূলে দলের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন ভাই আমাদের পরামর্শক।
সম্প্রতি সময়ে আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার কাদা ছুঁড়াছুড়ির ঘটনায় নগর বাসীর মাঝে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি করে। সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের মধ্যে গত বেশ কিছুদিন ধরে বাক যুদ্ধ শুরু হয়।
টিভি সিনেমার নায়ক নায়িকার অভিনয়কে ও হার মানায় রাজনৈতিক নেতারা।
ওরে নাটক
।
নাটক সব
দোকান বরাদ্দ দেয়ার ভাগের আশ্বাসে রাগ ডাক প্রত্যাহার
হগ্গলে মিল্লা ঝুল্লা খাই
Obibabok bolee khotaa