অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সৌদি আরব থেকে স্ত্রীকে তালাক: ‘আশা করি আরও ভাল স্বামী পাবে’

2
.

ফোনে স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই এক দিন হোয়াটস অ্যাপে একটি ভিডিওবার্তা পান তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে।

ইসলামে প্রচলিত তিন তালাক নিয়মের যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্ক চলছে সারা দেশে। তার মধ্যেই হায়দরাবাদে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে স্ত্রী-তে ‘তালাক’ বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সৌদি আরব থেকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো একটি ভিডিও মেসেজ মারফত নিজের স্ত্রীকে এই তালাক বার্তা দিয়েছেন অভিযুক্ত। গত ১৮ এপ্রিল অভিযোগকারিণী স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

বাবর ইব্রাহিম নামের ওই তরুণীর সঙ্গে মুদাস্‌সির আহমেদ খান নামের অভিযুক্ত তরুণের বিয়ে হয় ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসে। বাবর নিজে এমবিএ পাশ করেছেন, আর ম‌ুদাসসির এক জন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট। বাবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিয়ের পরে মাত্র ২০ দিন মুদাসসির তাঁর সঙ্গে কাটিয়েছিলেন। তার পর কর্মসূত্রে সৌদি আরবের রিয়াধে চলে যান তিনি।

বাবর জানিয়েছেন, ফোনে স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই এক দিন হোয়াটস অ্যাপে একটি ভিডিওবার্তা পান তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে। সেই ভিডিও মেসেজেই তিন বার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে মুদাসসির জানিয়ে দেন, বাবরকে তিনি ডিভোর্স দিচ্ছেন।

এর পর বাবর মুদাসসিরের বাবা-মা-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যন্ত দুর্বব্যহার করেন বাবরের সঙ্গে। মুদাসসিরের বাবা নাকি তাঁকে বাড়িতেও ঢুকতে দেননি। বাবরকে তাঁর শ্বশুরমশাই বলেন, ‘আমার ছেলে তোমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। বিয়েটা ছিল নিছকই দুর্ঘটনা। এখন প্রার্থনা করব, তুমি আরও ভাল স্বামী পাবে।’

এর কয়েক দিন পরেই মুদাসসিরের পক্ষ থেকে তালাকনামা এবং আইনি নোটিশ এসে পৌঁছয় বাবরের কাছে। দিন কয়েক আগে পুলিশে স্বামীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন বাবর।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাবর বলেন, ‘এই ধরনের লোকেদের জেলে ভরে দেওয়া উচিত। এমনকী আদালতের এদের জামিন দেওয়াও উচিত নয়।’ তিন তালাক নিয়মের অপব্যবহার রোধ করতে সরকারের কড়া নিয়ম আনা উচিত বলে মনে করছেন বাবর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হায়দরাবাদে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। সাম্প্রতিক কালে এসএমএস, স্পিড পোস্ট এমনকী সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার ঘটনাও এখানে ঘটে গিয়েছে।

তিন তালাক এমন এক নিয়ম, যার মাধ্যমে ‘তালাক’ শব্দটি তিন বার উচ্চারণের মাধ্যমেই এক জন মুসলমান পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছিন্ন করতে পারেন। এই নিয়মের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আশায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কিছু ভুক্তভোগী মুসলমান মহিলা।

কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, তিন তালাক প্রথা মুসলমান নারীর সামাজিক সম্মানের পক্ষে ক্ষতিকর। এমনকী, এর ফলে মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকারও অনেক ক্ষেত্রে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মত কেন্দ্র সরকারের।

২ মন্তব্য
  1. Faiz Ullah বলেছেন

    কেন

  2. AK Azad বলেছেন

    ডিজিটাল তালাক