কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম
কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম অধিকাংশ এলাকা। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ভোর থেকে চট্টগ্রাম জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টিরকারণে ছুটির দিনের নগরবাসীকে পড়তে হয় নানা দূর্ভোগে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সকাল থেকে টানা বর্ষণে নগরীর মেহেদিবাগ, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, চকবাজার, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বহদ্দারহাট, প্রবর্ত্তক মোড়, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, মোগলটুলীসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল হাটু পানিতে ডুবে যায়। হঠাৎ ভারি বৃষ্টিতে অনেক এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
এদিকে ভারি বর্ষণে নগরবাসী দুর্ভোগের কবলে পড়লেও তীব্র তাপদাহ কেটে গিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহন কমে যাওয়ায় নগর জীবনে নেমে আসে আরেক দুর্ভোগ। নগরীতে সকাল থেকে ছিল যানবাহনের স্বল্পতা। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, টাইগার পাস, চৌমুহনী ও বাদামতলী মোড়ে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
নগর বাসীর অভিমত সুষ্টু পরিকল্পনা না থাকায় এবং চট্টগ্রামের সকল সরকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকায় জলবদ্ধার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
এদিকে আজও এ ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শরীফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ইতিমধ্যে ভারী বর্ষণের সতকর্তা জারি করা হয়েছে এবং ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্কবাণীও দেয়া হয়েছে। চলতি মাসে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ এবং এদের মধ্য থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে সকাল সাতটা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভোর রাত ২টা ৫৭ মিনিটে কর্ণফুলীতে জোয়ার শুরু হয়। যা স্থায়ী ছিল সকাল ৯টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত। ৯টা ১৮ মিনিটে শুরু হয় ভাটা। আবার জোয়ার আসবে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে। যা স্থায়ী হবে রাত ৯টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত।
এদিকে বরাবরের মতোই জোয়ারের পানিতে আগ্রাবাদস্থ সিডিএ আবাসিক এলাকার পুরোটাই হাটু পানিতে ডুবে গেছে। এক্সেস রোড, শান্তিবাগ, বেপারিপাড়া, মুহুরীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, শ্যামলী আবাসিক, আগ্রাবাদ হাউজিং, ছোটপুল এলাকায় পানি থৈ থৈ করছে।
ছুটির দিনের সকালের এ বৃষ্টিতে বাজারে যেতে গিয়ে দূর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। রিক্সা কিংবা অনান্য যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটেই বাজার থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ টেম্পু করে নগরীর বাড়িক বিল্ডং থেকে চকবাজারে যায়। কিন্তু টেম্পু না পেয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন। অনেকেই গাড়ি না পেয়ে বাসায় ফেরত গিয়েছেন। বৃষ্টির সুযোগে রিক্সাওয়ালার হাঁকছেন চড়া দাম। নগরীর মেমগলি থেকে চৌমুহনী কর্ণফূলী মার্কেটের ভাড়া ২০ টাকা। সকাল সাদেক হোসেন এক ব্যক্তি বাজার করে বাসায় ফিরেছেন ৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে।
আগ্রাবাদ ছোট পোল এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদের জানান, সকাল থেকে বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে পুরো আগ্রবাদ হালিশহর সিডিএ এলাকায়। মানুয়ের দুর্ভোগের শেষ নাই। কাদের বলেন, এক্সেস রোড, শান্তিবাগ, বেপারিপাড়া, মুহুরীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, শ্যামলী আবাসিক, আগ্রাবাদ হাউজিং, ছোটপুল এলাকায় পানি উঠে গেছে।
তিনি জলবদ্ধার স্থায়ী সমাধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল সরকারী সংস্থার সমন্বয়ে কার্যক্রর সমাধােেনর জন্য সরকারে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এক্ষেত্রে সেনা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বৃষ্টির পানি েএবং জোরের কারণে সৃষ্ট পানি সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাগুলো চিহিৃত করে আশু সমস্যার সমধার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মহেশখালে জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী বাঁধ দিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির পানি নামবে কীভাবে। অবিলম্বে মহেশখালের বাঁধ অপসারণ করে একেবারে খালের মুখে স্লুইস গেট দিতে হবে। নয়তো বিশাল একটি এলাকা বর্ষায় সুইমিং পুলে পরিণত হবে।ভারী বৃষ্টির সঙ্গী জোয়ার, জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ বাড়ছেই।
বিএনপি জামাত জড়িত বন্যার পিছনে
দোস্ত কিছু করার নাই
উন্নয়নের রোল মডেল চট্রগ্রাম, মহাসড়কে নৌকা বাইচ হলে কেমন হয়
বিকালের শেষে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
সুইমিং পুলের জন্য আর মারামারি-কাটাকাটির দরকার নেই। কারন, এই মুহুর্তে পুরো চট্টগ্রাম শহর গোটাগাটাই একটা বিশাল সুইমিংপুল।
Very sad
Ato bodo bodo swiming pool takte….kelar mat e swiming pool er dor kar ki?
আআওয়ামীলীগ হচ্ছে ডালা জোয়ার
এটা ডিজিটাল বাংলার বৃষ্টি তো তাই….!
সারাবাংলার একই অবস্থা
এই কি হল নদীতে পানি নাই রাস্তায় পানির ঢল