অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বিজয়নগরে আ’লীগের হরতালঃ ১৪৪ ধারা জারী

0

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যড. ছায়েদুল হকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সফরের প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় যানবাহন ও লোক চলাচল কম। তবে বিজয়নগর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য উপজেলা সদরের বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল দিচ্ছে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের টহল দল।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যড. ছায়েদুল হকের বিজয়নগর সফরের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। ছায়েদুল হকের এখানে রবিবার প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন ও একটি সুধি সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

তবে শনিবার রাত ১২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকে আইনশ্ঙৃখলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বহিরাগত লোকজন যেনো জেলায় না ঢুকতে পারে সে জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে। এর বাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, সরাইলের বিভিন্ন মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে সুধি সমাবেশটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

মন্ত্রী সরকারি লোকজনকে নিয়ে প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল শুধু উদ্বোধন করবেন বলে শনিবার জেলা প্রশাসনের এক বৈঠকে আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন ও সুধি সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাড. ছায়েদুল হকের। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন।

সেদিন বিকেলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন  রবিবার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয়।

এরপর শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নামফলকও ভেঙে দেয়।