চট্টগ্রামে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় নিরীহ এক ব্যবসায়িকে পুলিশ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কলেজে অধিপত্ত বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ি এইচ এম সোহরাব মোস্তফাকে ১১ নাম্বার আসামী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উক্ত ব্যবসায়ি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী সোহরাব মোস্তফা বলেন, তিনি বিগত প্রায় ৯ বছর ধরে নগরীর চকবাজার এলাকায় ব্যবসায় করে আসছেন তিনি। চকবাজার এলাকায় তাদের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নামে কয়েকজন যুবক তাদের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বিষয়টি থানা পুলিশ করলে তাদের ক্ষতি হবে বলে চাঁদা দাবীকারী যুবকরা হুশিঁয়ারি করেন।
ব্যবসায়ী সোহরাব জানান, তিনি ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী ঐ যুবকদেরকে চাঁদাও দেননি এবং বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করেননি।
এদিকে গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় চকবাজার এলাকার যুবলীগ সন্ত্রাসী টিনু গ্রুপের পক্ষ থেকে সুভাষ মল্লিক সবুজ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রনি গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পর দিন স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে ব্যবসায়ি সোহরাব উক্ত মামলায় তাকে ১১ নং আসামী করেছে।
তিনি জানান, ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার সাথে তাদের দুরতম কোন সম্পর্ক ছিলনা। তারা পারিবারিক ভাবে ব্যবসায়ী । মামলার এজাহারে নিজের নাম রয়েছে শুনে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
তাঁর ধারনা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দানকারীদেরকে দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাঁকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে সুষ্ঠ তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ আবার নতুন কি?. পুলিশ টাকা না পেয়ে ভালো মানুষ কে আসামি বনিয়ে জেল হাতে প্রেরন করে। ছাত্রলীগ চাঁদা না পেয়ে মামলা দেবে, এটাই তো নিয়ম। দুই দিকেই বাঁশ খাবে নিরিহ জনগন।
ঠিক বলেছেন।
বা বা বা নতুন আইন
এটা সব জায়গায় ঘটে।কিন্তু আমাদের মিডিয়াগুলো প্রচার করে না।