অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে বিপিএলকে ঘিরে ৫ স্তরের নিরাপত্তা

0
.

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি-২০ (বিপিএল) এর ৬ষ্ঠ আসর এবং ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার  ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিএমপি কনফারেন্স হলে আয়োজিত নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের মোট পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিয়মিত পোষাকের পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিম, সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করবে। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। প্রায় ৫ হাজারের মতো ফোর্স কাজ করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা করেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। খেলোয়াড়দের এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে নিয়ে আসা, হোটেল থেকে মাঠে নিয়ে যাওয়া সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

এ সময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার বিষয়ে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, সফট ড্রিংকস, টিফিন বক্স, ক্যামেরা, অ্যালকোহল, পানির বোতল (কাঁচের বোতল বা টিনের ক্যান), মার্বেল পদার্থ নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না; আগ্নেয়াস্ত্র, খেলনা আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক, চাকু, ছুরি, ধারালো অস্ত্র, লাঠি, পাথর নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না; কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ক্যাবল বা তার, লেজার পয়েন্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না; সম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টকারী বক্তব্য সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না; নিরাপত্তাকর্মীদের নিকট বিপদজনক বিবেচিত কোন জিনিস নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না।

সমন্বয় সভায় সিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিসিবি, বিভাগীয় কমিশনার, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিডিএ, র‌্যাব-৭, জেলা প্রশাসন, ভেন্যু ম্যানেজার, ডিজিএফআই, এনএসআই, চমেক হাসপাতাল, ওয়াসা, এপিবিএন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিভাগীয় তথ্য অফিস, পিডিবি, সিভিল সার্জন, বিটিসিএল, বিআরটিএ, এয়ারপোর্ট ম্যানেজার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইউসিবিএল, হোটেল দি পেনিনসুলা চিটাগং, হোটেল আগ্রাবাদ, হোটেল রেডিসন ব্লু, কর্ণফুলী গ্যাস, আরবিসিবিভি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।