অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত প্রাথমিকে শিক্ষক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

0
.

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষকের উপস্থিতি শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তদারকি করে প্রতি মাসে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবেন। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এএফএম মনজুর কাদির।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে বিদ্যমান নীতি বাস্তবায়ন এবং তদারকির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেই লক্ষ্যে মফস্বলের শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিতি সকাল ৯টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আর রাজধানী ঢাকার শিক্ষকদের সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত উপস্থিতির এ নির্দেশনা মানতে হবে। এ ব্যাপারে বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি নতুন কোনো নির্দেশনা নয়। কিন্তু শিক্ষকরা এটি মানতেন না। কিন্তু এখন এ নীতি বাস্তবায়নে সরকার কঠোর তদারিক করবে। উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা এটি দেখবেন। এ ছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক এবং উপপরিচালকদের এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

রাজধানীতে ৩০ শিক্ষকের বদলি বাতিল

ঢাকা মহানগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত দুই ডজন বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই সব শিক্ষক ঢাকা মহানগরীতে বদলির আবেদন করেছিলেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদায়ী মহাপরিচালক বদলির আদেশ অনুমোদন করেছিলেন। কিন্তু বদলির আবেদনের নিষ্পত্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিও) স্বাক্ষরে তা বাতিল করা হয়েছে।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি আদেশ বাতিল করা হল। আদেশে বদলি হওয়া শিক্ষকদের পুনরায় আগের কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসি শিখা। তিনি বলেন, সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্য এলাকা থেকে আসা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শিক্ষক কর্মরত থাকতে পারেন। ঢাকায় বদলি হয়ে আসতে ইচ্ছুক অনেকে। তাদের মধ্যে সীমিত পদে বিভিন্ন শর্ত মেনে বদলির আদেশ দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু যে ক’জনকে বদলির অনুমতি দেয়া হয়েছে এ ক্ষেত্রে বিবেচনা যথাযথ হয়নি। এ কারণে বাতিল করা হয়েছে। তবে মার্চ মাসের মধ্যেই আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বদলির সিদ্ধান্ত হবে।