কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে গিয়ে (যেখানে বেগম খালেদা জিয়া অবস্থান করছিলেন) সেখানে প্রধানমন্ত্রী ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন, দুয়ার খোলেনাই। যে দলের নেত্রী নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডকে উপহাস করার জন্য হত্যাকারীদের উৎসাহিত করার জন্য কেক কাটেন তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না এটাই খুব স্বাভাবিক।
বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নেতিবাচক রাজনীতির কারনে বিএনপি’র জনপ্রিয়তা এখন তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বিগত নির্বাচনেই বিএনপি তা প্রমাণ পেয়েছে।
তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সদ্য প্রয়াত উত্তর জেল আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর শোক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
একই ধরনের নিউজ
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে চা চক্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি দেয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন তাদের না যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক, কারন যাদের দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হয়। প্রধানমন্ত্রী দুয়ারে দাড়িয়ে থাকলে যাদের দুয়ার খুলে না তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা হাত প্রসারিত করেছি আপনারাও আপনাদের হাত প্রসারিত করুন। তাহলে আপনাদের রাজনীতি বাঁচবে, বিএনপি টিকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুছ সালাম, ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।
প্রয়াত উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। ওনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সাথে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় নেতা। তিনি নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন তার বক্তব্যের মাধ্যমে। নুরুল আলমের মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদকে হারিয়েছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।