অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে দুস্থদের মুখে হাসি ফোটাতে স্মাইল বাংলাদেশ’র ‘মানবতার দেয়াল’

0
.

‘আপনার অতিরিক্ত যা এখানে রেখে যান’, আপনার প্রয়োজন যা নির্ভয়ে এখান থেকে নিয়ে যান’- ঠিক এমনই স্লোগানে চট্টগ্রামে পৃথক ৩টি স্থানে মানবতার দেয়াল তৈরি করেছে চট্টগ্রামের স্মাইল বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। উদ্যোমী তরুন-তরুনীদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরাই নিজেদের অপ্রয়োজনী বা অতিরিক্ত জামা-কাপড় দেয়ালে দুস্থদের জন্য টাঙিয়ে দিয়ে এই মানবতার দেয়ালের কার্যক্রমের সূচনা করেন। মুলতঃ দুস্থ অসহায় মানুষের প্রয়োজনীয়তা মিটাতে এবং তাদের মুখে হাসি ফোটাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মিরা। নিজেরা শুরু করার পর এই উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষও।

স্মাইল বাংলাদেশে সদস্য আলিফা নুসরাত জানান, গত ১৫ জানুয়ারী প্রথম চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি মানবতার দেয়াল তৈরি করেন তারা। সেখানে প্রথমে নিজেদের অতিরিক্ত জামা কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে যাদের এসব কাপড় প্রয়োজন তাদের নির্ভয়ে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে স্থানীয় অনেকেই এই মানবতার দেয়ালে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের বাসায় অব্যবহৃত কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী মানবতার দেয়ালে টাঙিয়ে দেন। এখান থেকে দুস্থ অসহায়রা তাদের প্রয়োজনমতো কাপড় নির্ভয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। লালখান বাজারে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর নগরীর শেখ মুজিব রোডের দেওয়ানহাট ব্রীজের কাছে এবং নাসিরাবাদ ওমেন কলেজের পাশে আরো দুটি মানবতার দেয়াল তৈরি করা হয়। এসব দেয়ালেও সাধারণ মানুষ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন বলে জানান আলিফা নুসরাত।

অনেকের বাসায় অতিরিক্ত জিনিস ফেলে না রেখে গরীব দুস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে স্বেচ্ছায় দান করার মানষিকতা তৈরি করাই এই মানবতার দেয়ালের উদ্দেশ্যে বলে মন্তব্য করেন আলিফা।

মানবতার দেয়াল থেকে গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষরা তাদের প্রয়োজনীয় কাপড় নেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এবং দুস্থ মানুষদের মুখের হাসি দেখতে পেয়ে নগরীর আরো কয়েকটি স্থানে মানবতার দেয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মাইল বাংলাদেশের সদস্যরা। স্মাইল বাংলাদেশ এবং মানবতার দেয়াল তৈরির নেপথ্যে যে তরুনরা কাজ করছেন তাদের মধ্যে আছেন মামুন বীন আমিন, ফজলুর রহামান, আলিফা নুসরাত, গাজী রাসেল, রাজন খান, শাহাদাত হোসেন, শাহিন হোসেন, শাহনাজ শানু, মরিয়ম মুন্নি, সাইমা রিমি, রোকেয়া আক্তারসহ আরো অনেকে। তরুন-তরুনীদের এমন ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।