অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে মৃত্যুর মিছিল আর কত দীর্ঘ হবে?

1
নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল

আমরা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, কিন্তু যে হারে সড়কে মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে এতে শংকিত হয়ে পড়েছেন, দেশের মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নিয়ে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন এক অজনা আতংকের নাম! এই সড়কের নাম শুনলেই ভয়ে বুক কাঁপে অনেকের !

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নামে মহাসড়ক কিন্তু বাস্তবে আতংকের জনপদ। একের পর এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুর মিছিল ভারী হচ্ছে প্রতিদিন। প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ, আর পুঙ্গত্ব বরণ করে সারাজীনের কান্না ভয়ে বেড়াচ্ছেন হাজারো মানুষ। আর কত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হলে এই সড়ক নিরাপদ হবে? এখন মানুষের মুখে- মুখে এই প্রশ্ন! কিন্ত উত্তর কে দেবে? সবাই বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা! তাই উপায় না পেয়ে সম্পাদকীয় পাতায় নিরুপায় হয়ে বিবেকের তাগিদে এই লেখা।

.

লেখার আর্জি আপনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত পৌছাবে কি না জানিনা, তবুই বিবেকের প্রয়াস বলে কথা। যেখানে প্রতিদিন এতো মানুষের প্রাণহানি সেখানে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বিবেকের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারি না। গণমানুষের শেষ আশ্রয় গণমাধ্যম সেই মাধ্যমে এই সম্পাদকীয় কিছুটা হলে আশা জাগানিয়া হবে। আপনার দৃষ্টিগোচর হলে।

সর্বশেষ (গতকাল) ৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার পটিয়ার ভাইয়ের দীঘির পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদিয়াবাস ও মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪ জন, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরও অনেকে, শুধু তাই নয় গত এক সাপ্তাহে আরও কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪/৫ জন মারা গেছেন। সড়কে এই মুত্যুর পরিসংখ্যান জটিল সমিকরণ তৈরী করছে ব্যক্তি জীবনে।  আজ মৃত্যেুর শোকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাতাসে শোক ভয়ে বেড়াচ্ছে। স্বজনহারা পরিবারের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মানুষের চোখের জ্বলে সমগ্র নগর শোকের শহরে পরিণত হয়েছে। এ ভাবে আর কত প্রাণের সলিল সমাধি হবে?

আমরা বাঁচলে তো বাংলাদেশ বাঁচবে তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দিখে তাকিয়ে আছেন চট্টগ্রামে মানুষ! আপনি নজর দিলে চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়কের কাজ শুরু হবে বন্ধ হবে মৃত্যুর মিছিল। আকাঁ-বাঁকা এই সড়কটি বাদামতল থেকে পটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে ৩০ টি বাঁক! কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কে ভয়াবহ বাঁক রয়েছে ৬৮ টি! একেকটি বাঁক যেন একেকটি মৃত্যুর ফাঁদ। চট্টগ্রাম থেকে ১১৫ কিলোমিটার পথের মধ্যে ১৩টি বিপদজনক স্থান রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা জন্ম দিচ্ছে।

অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যেখানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক কেন অবহেলিত থাকবে? এই সড়কে ওয়ানওয়ে সড়ক নির্মাণ করলে কক্সবাজারের দৃশ্যপট বদলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনি আমাদের শেষ ভরসা। আপনার একটি ঘোষণা কেবল দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয় সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। একটি ওয়ানওয়ে ফোরলেইন সড়ক বিশ্বের বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার কে বদলে দেবে, কক্সবাজার এগিয়ে গেলে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে, যে দেশে একজন পর্যটকের আগমণে ১৮ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সে দেশে এতো বৃহৎ সমুদ্র সৈকত থাকলে কেন দেশের পর্যটকরা বিদেশগামী হবে? একটা কক্সবাজার কে পরিকল্পিত রূপ দিতে পারছি না বলেই দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, অান্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা না থাকায় বিদেশী পর্যটকরাও দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন, ফলে অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশের পর্যটন খাত মুখ থুবড়ে পড়ছে, দেশের অন্যতম পর্যটন নির্ভর কক্সবাজার শহর কে পরিকল্পিত রুপদিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।

একটি চট্টগ্রাম -কক্সবাজার ওয়ানওয়ে সড়ক নির্মাণ হলে দেশ- বিদেশের পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হবে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে পর্যটকদের আগ্রহের নতুন ঠিকানা। ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এই অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী এই প্রত্যাশায়…।

লেখক : সংগঠক ও কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বাওসো), চট্টগ্রাম।

“পাঠকের কলাম” বিভাগের সকল সংবাদ, চিত্র পাঠকের একান্ত নিজস্ব মতামত, এই বিভাগে প্রকাশিত সকল সংবাদ পাঠক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। তা্ই এ বিভাগে প্রকাশিত কোন সংবাদের জন্য পাঠক.নিউজ কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই দায়ী নয়।
১ টি মন্তব্য
  1. Jamal Uddin sabuj বলেছেন

    Nice reporting!