অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গৃহকর্মী হত্যার দায়ে ডাক্তার দম্পতি বিরুদ্ধে মামলা নিতে ফটিকছড়ির ওসিকে আদালতের নির্দেশ

0
.

চট্টগ্রামে কুসুম আক্তার (২০) নামের এক গৃহকর্মীকে খুনের অভিযোগে হোমিও চিকিৎসক দম্পতি ও তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা নিতে ফটিকছড়ি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ ১০ ফেব্রুয়ারী রবিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -৫ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শহীদুল্লাহ কায়সার এ আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট এমরান নাঈম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসি ফটিকছড়িকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ১নভেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে এর আদালতে একটি সিআর মামলা করেন নিহত ভিকটিম কুসুমের বাবা রমজান আলী (৪৫)।

আসামীরা হলেন- মো. মোস্তফা মজুমদার (৫০), তার স্ত্রী ফেরদৌস মজুমদার (৪৫) ও তাদের মেয়ে স্মৃতি মজুমদার (২৮)।

তারা ফটিকছড়ির বিবিরহাটের কোটেরপাড় এলাকার বাসিন্দা। নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।

বাদীর আইনজীবী এডভোকেট এমরান বলেন-স্বামী-স্ত্রী দুজনই হোমিও চিকিৎসক এবং চেম্বার করেন কোটেরপাড় এলাকায়। আদালত উক্ত মামলাটি গ্রহণ করে ফটিকছড়ি এবং খুলশি থানার ওসিকে এবিষয়ে কোন মামলা বা অপমৃত্যু মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়-মামলার বাদী ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর রক্তছড়িকুল এলাকার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ভ্যান চালক। তার মেয়ে কুসুম জিইসি মোড়ে আসামীদের বাসায় মাসিক দেড় হাজার টাকায় গৃহকর্মী হিসেবে গত বছর সাত মাস ধরে কাজ করে আসছিল।  হঠাৎ গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে আসামীরা বাদীকে ফোন করে জানান, কুসুম গুরুতর অসুস্থ। এর দুই ঘন্টা পর আসামীরা বাদীর বাড়ির উঠানে গিয়ে বাদীকে ডেকে তোলেন।

তারা বাদীকে বলেন, তার মেয়ে বেঁচে নেই, তারা লাশ নিয়ে এসেছেন। এরপর তারা কুসুমের লাশ উঠানে রেখে কৌশলে শহরে চলে যান।  গ্রামের লোকজন লাশ কবর দিয়ে দেয়। কুসুমের মৃত্যু সম্পর্কে আসামীদের সাথে বাদী যোগাযোগ করলে একেক সময় একেক কথা বলেন। এতে বাদীর সন্দেহ হওয়ায় ফটিকছড়ি থানায় এজাহার দিতে যান বাদী। থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতের আশ্রয় নেন বাদী।