অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নারীকে ইয়াবা খাওয়ায়ে ধর্ষণ করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

0
.

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষন করার দায়ে সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।

ধর্ষিত ওই নারী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে প্রতিবেশী রহিমা বেগম নামে এক নারীর সাথে সাটুরিয়ায় এলে সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন থানার পাশে সাটুরিয়া ডাকবাংলাতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে আটকিয়ে জোরপূর্বক ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে নেশাগ্রস্থ করে। পরে এসআই সেকেন্দার ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম তাকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষন করে।

পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে বিভিন্ন মামলায় জড়িত করিয়া ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরের দিন শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত আটকিয়ে রাখার পর ছেড়ে দেয়া হয়।  রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী লিখিত অভিযোগ দেয়।

রহিমা বেগম জানান, এস,আই সেকেন্দার হোসেন তার পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে জমি কেনার বিষয়ে গত তিন বছর আগে তিনি সেকেন্দারকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নিতে তিনি তার প্রতিবেশী তিশা আক্তার মারিয়াকে সাথে নিয়ে সাটুরিয়ায় আসেন।

সেকেন্দার হোসেন তাদেরকে টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য থানার পাশেই সরকারি ডাকবাংলোতে নিয়ে যান। সেখানে পাওনা এক লাখ টাকার মধ্যে ১০হাজার টাকা দিয়ে পাশের একটি কক্ষে তাকে আটকিয়ে রাখা হয়। অন্য কক্ষে মারিয়াকে নিয়ে যায় সেকেন্দার।

এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে টেলিফোনের মাধ্যমে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সদর সার্কেলের এএসপি হাফিজুর রহমানকে বিষয়টির তদন্ত ভার দেয়া হয়। তদন্তে কিছুটা সত্যতা পাওয়ায় শনিবার রাতেই এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজাহারুল ইসলামকে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার ভিকটিম (তিশা আক্তার মারিয়া)স্বসরিয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।