চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের শশুর বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানোবস্থায় তসলিমা আকতার (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকালে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তসলিমার মরদেহ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত গৃহবধূ সাংসারিক বিরোধের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানালেও তার পরিবারের দাবী তসলিমাকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
নিহত তসলিমা আকতার ৪ সন্তানের জননী ছিলেন। উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম ঘাটিয়া ডাঙ্গা এলাকার মৌলেভী মো. হাসানের মেয়ে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহত তসলিমার স্বামী জমির চৌধুরী পলাতক বলে জানাগেছে।
নিহত তসলিমার মামাতো ভাই সাংবাদিক সৈয়দ কামরুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ১১ বছর আগে তসলিমার সাথে কাঞ্চনা ইউনিয়নের জমির চৌধুরীর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি ছিল। জমির নেশাগ্রস্থ হয়ে সবসময় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতো।
আজ সোমবার সকালে তসলিমাকে নির্যাতন করে হত্যার পর গলায় কাপড় পেচিয়ে লাশ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে প্রতিবেশীদের দেয়া খবরের ভিক্তিতে সাতকানিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
এদিকে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বলেন আমরা জানতে পেরেছি পারিবারিক অশান্তির কারণে এই নারী গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ তার লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।