অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানান জাতের পাখি ও পোষা প্রাণীর মেলা

0
.

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনব্যাপি পাখি ও পোষাপ্রাণী মেলা।

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

এবারের মেলায় প্রায় ৮০ প্রজাতির পাঁচ শতাধিক পাখি, টার্কি, খরগোস, ১০ প্রজাতির ৪৫টি উন্নত জাতের কুকুর, ৫ প্রজাতির ১৬টি বিড়াল, ১০টি বিরল প্রজাতির খরগোস এবং ১০০ প্রজাতির একুরিয়ামের মাছসহ বিভিন্ন জাতের পোষা প্রাণী প্রদর্শিত হচ্ছে।

.

মেলায় প্রদর্শিত পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বাজেরিগার, কুনোর, লরি, ককাটাইল, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ব্লু-হেডেড ম্যাকাও, কেকালিনা কাকাতুয়া, গ্রে-প্যারট, র‌্যাম্প, ক্রিমসন, ভেলিট কুনোর, রুবিনো, রোজিলা, মিলি রোজেলা, ক্লু-ক্রাউন কুনোর, রেডলরি ও ক্যাটরিন লরি ইত্যাদি।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বার্ড ব্রিডার্স এসোসিয়েশন, এনিম্যাল কেয়ার অব চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম হাইফ্লায়ার জোন, এসোসিয়েশন অব এভিয়ান ভেটেরিনারিয়ান বাংলাদেশ ও বার্ডস এন্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিক্স যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।

.

সিভাসুতে এ নিয়ে ৪র্থ পোষা পাখি, কবুতর এবং পোষা প্রাণীর মেলার আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডাইরেক্টর (পিআর) খলিলুর রহমান জানান, মেলায় প্রদর্শিত কবুতরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-হাউজ পিজিওন, পোমারিয়ান পোটার, ফিন্ডব্যাক, সর্ট ফেইস, লং ফেইস, হোয়াইট টপ বোখারা, মন্টেনা, ফ্রেঞ্চ মন্ডেইন, মংক কোমরনা, মুক্ষী, সাটিন, পেন্সিল বল, রেন্টি, আর্চ-এঞ্জেল, গ্রিজেল, ব্লু-চেক,কাচুরী, নোল্ডেন, ম্যাকপাই পোর্টার জাতের কবুতর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

মেলায় পাখি ও প্রাণী নারী পুরুষ শিক্ষার্থীদের ভীড় লেগেছে।

.

এদিকে সকালে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো: আ: হালিম, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দীন, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস, প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক মিয়াজী ও ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

.

মেলা প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, পোষা পাখি ও প্রাণীর পালনকে যারা পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী এ মেলা তাদের জন্য সহায়ক হবে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ণয় করতে সক্ষম হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণেই ক্রেতারা স্ত্রী লিঙ্গ ও পুং লিঙ্গ নিশ্চিত হয়ে পাখি ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছে। এতে সকলেই উপকৃত হচ্ছে। মেলা প্রতি বছর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।