অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাজনীতিতে বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান- ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সমকালিন রাজনীতিতে বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতির প্রতীক এবং দেশের ভবিষ্যত কান্ডারী। তারেক রহমান দুরদর্শি, অক্লান্ত পরিশ্রমি, প্রজ্ঞা ও ক্যারিশমাট্কি ব্যক্তিত্ব। তার জনপ্রিয়তাই ঈষান্বিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মঈন উদ্দিন-ফকরুদ্দিন এর ১/১১ সরকারের সময় দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হন তারেক রহমান।

তিনি আজ ৭মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে তারেক রহমানের ১৩ তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলে, ২০০৭ সালের ৭মার্চ গ্রেফতারের পর কারাগারে নিষ্ঠুর নির্মম নির্যাতনের মধ্যে একটানা ১৮ মাস কারাবাস করতে হয়েছে তাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হিংসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতারের পর রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাক্সফোর্স, এনবিআর, দুদক সহ সরকারের সব সংস্থাই দেশে-বিদেশে তন্ন-তন্ন অনুসন্ধান করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিটি মিথ্যা মামলাই ছিল রাজনৈতিক প্রতি হিংসার। জনগণের ভালোবাসায় তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে আসবে।

সভায মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমুল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে তৃণমুল সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এর মধ্যদিয়ে একটি সুসংঘবদ্ধ বিএনপি গড়ে উঠে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। তিনি ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে যেভাবে তৃণমুলে দলের শেকড় প্রোথিত করেন তাতে অশুভ রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলা থেকে মাঠি সরতে থাকে। এর ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।

এর আগে নাছিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মোঃ শামছুল হক, নগর বিএনপির নেতা মাঈনুদ্দিন মোঃ শহীদ, ড. এস.এম সরওয়ার আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, মনজুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ইদ্রিস আলী, আব্দুল কাদের জসিম, বেলায়েত হোসেন বুলু, ইউসুফ সিকদার, শাহেদা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম।