অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভিক্ষুকের ঘরে ৮৮ কেজি কয়েন ও দেড় বস্তা টাকা!

0
.

গত বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ভিক্ষুক সাজেদার ভাড়া বাড়ির চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়।

গুপ্তধন উদ্ধারের খবরে ভিড় করে শত শত মানুষ। ভিক্ষুক সাজেদার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় বস্তা টাকা আর ৮৮ কেজি কয়েন। আর এই টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডা এলাকার মাদরাসা রোডে জাকির হোসেনের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ভিক্ষুক সাজেদা। খবর পেয়ে টাকা ও কয়েনগুলো উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় মুগদা থানা পুলিশ।

জানা যায়, ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন ভিক্ষুক সাজেদা (৭৫)। সাথে থাকেন তার মেয়ে আমেনা।

এদিকে এসব টাকা ভিক্ষা করে সঞ্চয় করেছিলেন বলে দাবি করেন সাজেদা বেগম ও তার মেয়ে আমেনা। এরপরই এসব টাকা ও কয়েন মা-মেয়ের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

জাকির হোসেন যে বাসায় থাকতেন সেই বাসার মালিক জানান, সাজেদা কিছুকাল আগে চলে যায়। অনেক দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও যখন সাজেদা এলো না, তখন তিনি ধারণা করেন সাজেদা আর আসবে না। তার সাজেদার ঘরের বস্তাগুলো সরিয়ে রাখি।

একটি বস্তা অনেক ভারী ছিল। পরে টোকাইরা বস্তা খুলে কাপড়ের ভাঁজে টাকা ও কয়েন দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় বস্তা এক-দুই টাকার নোট ও বিপুল পরিমাণ কয়েন উদ্ধার করে। গণনা করে দেখা যায় সেখানে এক লাখ ৮ হাজার ৬৬০ টাকা এবং কয়েন আছে।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়ে নাজমার বাসা থেকে সাজেদা বেগম ও আমেনাকে আনা হয়।

তিনি আরো জানান, ছয় থেকে সাতজন মানুষ দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনা করে পাওয়া যায় ৭৬ হাজার টাকা (এক টাকা, দুই টাকা থেকে শুরু করে ১০০-৫০০ টাকার নোট) ও ৮৮ কেজি টাকার কয়েন (চার আনা থেকে শুরু করে ৫ টাকা)।

এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ভিক্ষুক বৃদ্ধা ও তার মেয়ে এই টাকার মালিক। তাদের পাওয়া গেছে। পরে কথা বলে মা-মেয়ের কাছে টাকাগুলো হস্তান্তর করা হয়