চট্টগ্রাম জেলা আদালতের মালখানায় রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। এনিয়ে আদালত পাড়ায় তোলপাড় শুরু হলে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন-রাতের পালায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই কনস্টেবল মোহাম্মদ খলিলুর রহমান এবং মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, মালখানায় চুরি হয়েছে। কি পরিমাণ মালামাল ও আলামত খোয়া গেছে তা যাচাই করা হচ্ছে।
জানাগেছে, আদালতের মালখানায় মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার, অস্ত্র, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী থাকলেও সেগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে একটি আলমারিতে রাখা বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। ঘটনার পর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চুরি যাওয়া মালের তালিকা তৈরির কাজ শুরু চলছে।
ঘটনা তদন্তে কাজ করছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
চুরির ঘটনাটিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা বলেন, মালখানা থেকে বড় ধরনের কিছু খোয়া গেছে বলে মনে হয় না। শুধু একটি আলমারির দরোজা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার ভিতরে রাখা কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। কিন্তু মালখানায় আরো কিছু মূল্যবান সামগ্রী ছিল। যেমন, স্বর্ণ, অস্ত্র, মোবাইল ফোনসহ দামি কোনো কিছুই খোয়া যায়নি।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বড় ধরনের কিছু চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জেলা পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, ‘চুরির আলামত দেখে মনে হচ্ছে কোনো বিশেষ মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য কেউ মালখানায় প্রবেশ করেছিলো। অথবা এমনও হতে পারে যে কয়েকদিন আগে জেলার মীরসরাই থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। সেগুলো আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। তবে সেগুলো মালখানাতেই রয়েছে, এমন ধারণা করে কেউ মালখানায় প্রবেশ করে থাকতে পারে।’