অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশের প্রথম মিস হ্যামার স্ট্রেংথ রামিশা, মিস্টার হ্যামার তাজ ও অভি

0
dsc_0029
নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট মিস্টার এন্ড মিস হ্যামার স্ট্রেংথ প্রতিযোগিতা।

জমাজমাট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুধবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে মিস্টার এন্ড মিস হ্যামার স্ট্রেংথ প্রতিযোগিতা-২০১৬। চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফিটনেস সেন্টার হ্যামার স্ট্রেংথ কর্তৃক দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় মিস হ্যামার স্ট্রেংথ-২০১৬ নির্বাচিত হয়েছেন রামিশা। মিস্টার হ্যামার স্ট্রেংথ নির্বাচিত হয়েছে যৌথভাবে দুজন।

এরা হলেন মোহাম্মদ তাজ এব অভি। মিস্টার এন্ড মিস হ্যামার স্ট্রেংথ ছাড়াও আরও ৫টি ক্যাটাগড়িতে এই প্রতিযোগিতায় খেতাব প্রদান করা হয়। এগুলো হলো মিস বেস্ট স্মাইল, মিস ফটোজেনিক, মিস বিগেস্ট ওয়েট লুজার, মিঃ বিগেস্ট ওয়েট লুজার এবং মিস্টার হ্যান্ডসাম। এসব ক্যাটাগড়িতে পুরস্কার লাভ করেছেন মিস ফটোজেনিক তিশা, বেস্ট স্মাইল নির্বাচিত হন আমরিন এবং মিস্টার হ্যান্ডসাম নির্বাচিত হন সাইম। বিগেস্ট ওয়েটলুজার ক্যাটাগড়িতে পুরস্কার পেয়েছেন মিস বিগেস্ট ওয়েট লুজার স্মৃতি দাশ এবং মিস্টার বিগেস্ট ওয়েট লুজার মোঃ ইশতিয়াক। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, বিশিষ্ট টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও মডেল শারমিন লাকী, টিভি উপস্থাপিকা পারিহা লিমা, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার আহমেদ নেওয়াজ, বডি বিল্ডার ও সাবেক ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ হিটম্যান হার্ট।

002
মিস্টার হ্যামার স্ট্রেংথ নির্বাচিত হয়েছে যৌথভাবে মোহাম্মদ তাজ এবং অভি।

জমকালো এই আয়োজনকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বন্দরনগরীর রীমা কনভেনশন সেন্টার কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে অনেকেই এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। কেউ এসেছেন হ্যামার স্ট্র্যাংথকে শুভ কামনা জানাতে। আবার অনেকে দেখতে এসেছেন চট্টগ্রামে কোন ফিটনেস সেন্টারের প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে শরিক হওয়ার আকাঙক্ষায়। ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া ভারত মালয়েশিয়া থেকেও অনেক অতিথি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশ খ্যাত মডেল ও কোরিওগ্রাফার খালিদ হাসান সুজন ও তার সেলিব্রেটি টীমের মুগ্ধকর ক্যাটওয়াক, যার মাধ্যমে তারা হ্যামার স্ট্র্যাংথের অভিলাষ ও স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাকে তুলে ধরেন। এরপর সঞ্চালিকা আফ্রি সেলিনা একে একে ডেকে নিলেন প্রতিযোগীদের। নারী প্রতিযোগী ৯ জন ও পুরুষ প্রতিযোগী ছিলেন ১৫ জন। বিচারকদের সামনে তারা ক্যাটওয়াক করে দেখালেন। মঞ্চে এরপর আসে চট্টগ্রামের হিপহপ ড্যান্সগ্রুপ ও স্ট্রিটড্যান্স ক্রু ওটু। দর্শকদের জমিয়ে দিয়ে বিদায় নেয় চট্টগ্রামের এই খুদে ড্যান্সাররা।

উপস্থাপিকা এবার মঞ্চে আহবান জানান হ্যামার স্ট্র্যাংথের কর্ণধার সৈয়দ রুম্মান আহাম্মেদকে। মঞ্চে উঠেই তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জানালেন হ্যামার স্ট্র্যাংথকে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছের কথা। বক্তব্য শেষ করে রুম্মান নেমে যাওয়ার পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে বিশেষ ফ্যাশন কিউতে অংশ নেন প্রতিযোগিতরা। পেশাদার মডেল না হয়েও হ্যামার স্ট্রেংথ জিম এর এসব প্রতিযোগি বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হন পেশাদার মডেলদের চেয়ে তারা কোন অংশেই কম নন। এর পর আবারো মঞ্চে ডাকা হয় ও-টুকে। তাদের পরিবেশনায় আয়োজক ও দর্শকদের পাশাপাশি বিস্মিত বিচারকগণও। তাদের পরিবেশনা শেষে ডেকে নেয়া হয় হ্যামার স্ট্যাংথ এর কয়েকজন মেম্বারকে, যারা এ ফিটনেস সেন্টারে ভর্তি হয়ে মাত্র তিন/চার মাসে অভাবনীয় উন্নতি করেছেন নিজের শরীরের। কেউ ছিলেন ১৩৫ কেজি, বর্তমানে তার ওজন ৭২ কেজি। কেউ ছিলেন ১৩৯ কেজি, এখন ওজন ৭২ কেজি। তৃতীয় এবং সবশেষ রাউন্ডে বিচারকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন প্রতিযোগীরা।

dsc_0973
অনুষ্ঠানে কেটওর্য়াক প্রদর্শন করছেন মিস হ্যামার স্ট্রেংথ এ সদস্যা।

এরপর রুম্মান মঞ্চে ডেকে নেন বিচারকগণসহ অন্যান্য অতিথিদের। বিচারকদের পক্ষে ওয়াহিদ মালেক বলেন, শরীর সুস্থ সুন্দর রাখতেতো হবেই, তবে মনটাকেও সুন্দর রাখতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর হতে হবে। সুন্দর সুন্দর ভাবনাকে মনে ঠাঁই দিতে হবে। তবেই একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠবেন। তিনি হ্যামার স্ট্র্যাংথের পথচলা আরো সুন্দর সাবলীল হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে দৈনিক আজাদী সবসময় তাদের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ বলেন, আমরা ক্রমশ যান্ত্রিক হয়ে পড়ছি। কিন্তু জীবনটা অনেক সুন্দর। হ্যামার স্ট্র্যাংথ জীবনের এই সৌন্দর্য উপভোগের একটা সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে আরো শুভেচ্ছা জানান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শারমীন লাকী, মডেল উপস্থাপিকা পারিহা লিমা, সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, চট্টগ্রাম চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ জামাল আহমেদ, রাজনীতিবিদ শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ। এর পর বিচারকরা তাদের ফলাফল ঘোষনা করেন।