চট্টগ্রামে ভূতুড়ে বিলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিডিবি
বিদ্যুৎ ব্যবহারের চেয়ে বেশি বিল, মিটার না দেখে অনুমান নির্ভর বিল এবং বছর জুড়ে একই পরিমাণের বিল-এমন সব ভূতুড়ে বিলের মাধ্যমে চট্টগ্রামে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
গ্রাহকদের অভিযোগ, রিডিং এর চেয়ে দুই বা তিনগুণ বেশি বিলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে পিডিবি। লোকবল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহক ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছে পিডিবি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছে তারা।
নগরীর কল্পলোক আবাসিক এলাকার এক বাড়িতে মিটার আছে ১২টি। প্রতিমাসেই অধিকাংশ মিটারে রিডিং এর চেয়ে বিলে ইউনিট বেশি দেখাচ্ছে পিডিবি। একটি মিটারে রিডিং ৩৩১ ইউনিট হলেও বিল এসেছে ৮৪০ ইউনিটের। অপর মিটারে ৮ হাজার ২৮৬ ইউনিটের পরিবর্তে বিলে এসেছে ৯ হাজার ৩২০ ইউনিট। অর্থাৎ ২টি মিটারে অতিরিক্ত ১৫৪৩ ইউনিট বেশি এসেছে। একই চিত্র নগরীর অন্যান্য বাড়ির অধিকাংশ মিটারেরও।
বাড়ির কেয়ারটেকারা অভিযোগ করেন, শুধু অতিরিক্ত বিল নয়, মিটার রিডিং না দেখে ধারণা নির্ভর বিল করছেন রিডাররা। এ ছাড়া মাসের পর মাস একই পরিমাণের ইউনিট এবং প্রতিমাস অন্তর অন্তর বাড়ছে মিটারে ইউনিটের পরিমাণ। নানা ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
লোকবল সংকটের কথা জানিয়ে আগামী দু’মাসের মধ্যে গ্রাহকদের সমস্যা থাকবে না বলে জানালেন চট্টগ্রাম পিডিবি বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী মো: আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আশাকরি আগামী দুই মাস পর এ ধরণের অভিযোগ আর পাওয়া যাবে না।
পিডিবি সুত্র জানায় বিতরণ সংস্থা দক্ষিণাঞ্চলে ৮ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ৬৬০ জন মিটার রিডারের বিপরীতে আছে মাত্র ৬৪ জন। আর একজন মিটার রিডার প্রতিমাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ হাজার ২শ’ মিটার রিডিং করা নিয়ম থাকলেও বাস্তবে করতে হচ্ছে ১২ গুণ বেশি ১৩ হাজারের মতো।
সত্যি তথ্য সাংবাদিক দের হাতে নাই । কারন ? তারা Pdb তে কাজ করে না ! বিল কারা বাড়ায় তা শুধু আমরাই জানি ?
সাইফুল ভাই আপনার মাধ্যমে আমরা ভোক্তভুগিরা পরিএান চাই ।
বড়ো ডাকাত!!
হাটহাজারীতে মিটার না দেখেই বিল দিচ্ছে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছেনা অফিসে সব ধান্দাবাজ হারামখোর! সাংবাদিক ভাইরাও আজকাল নিশ্চুপ
ভাই এই মাসে সাড়ে সাত টাকা করে ইউনিট রাখছে
এর বিরুদ্ধে কে রুখে দাঁড়াবে
শুধু চট্টগ্রাম নয়। সারা দেশে চলছে অনিয়ম।
Govt. pai na, govt service holder ra pai.
এক মিটার রিডারকে একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম তুমি কি জান, মিটার কি জন্য দেয়া হয়? গ্রাহক তাঁর ব্যবহৃত বিদ্যুতের সঠিক মূল্য পরিশোধের জন্য মিটার ব্যবহার করে থাকেন। পিডিবি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় সংযোগ ব্যয়ের সাথে মিটারের মূল্যও গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মিটার রিডিং অনুযায়ী কোন সময় বিদ্যুৎ বিল আসেনা। মিটার রিডারেরা মিটার রিডিং না দেখে তাদের খেয়াল খুশিমত রিডিং বসিয়ে দেয় এবং বিলও সেভাবে আসে। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে অভিযোগ করলে পিডিবির জবাব সোজা। কম্পিউটার বিল সংশোধন করা যাবেনা। বিল যেভাবে আসছে সেভাবে পরিশোধ করেন। পরের মাসে সমন্বয় করা হবে। গ্রাহকও আশ্বস্ত হয়ে বিল পরিশোধ করে দেন। কিন্তু সমন্বয় আর হয়না। পরের মাসেও এক অবস্তা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কম্পিউটারের দোহাঈ কেন? কম্পিউটারত ভূল করেনা। এভাবে কি গ্রাহকেরা হয়রানীর শিকার হতে থাকবেন? রিডিং না দেখে বিল দিলে মিটারের দরকার কি? আর মিটার রিডারেরও দরকার কি? অরিরিক্ত রিডিং এর জন্য একজন গ্রাহককে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রিডিং এর স্লাবের কারনে রেট বেশী আসছে আবার তার উপর ভ্যাটও অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে।যাদের বাসা ভাড়া আছে তাদের সঙ্গে ভাড়াটেদের বিল নিয়ে সবসময় সমস্যা লেগে আছে। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আজহারুল ঈসলামের বক্তব্য বাস্তবায়ন হলে পিডিবির উপর আমাদের আস্থা ফিরে আসবে। সে অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাই আমি একটি বাড়ির ইন্চাজ ১৫টি বাড়া ঘর নিয়ে কষ্টে আছি। বিল বেসি আসে বলে বারাটে থাকচ্ছো না।