অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পূজা-ভোট দুটোই পবিত্র কাজ, একসঙ্গে সমস্যা নেই: ইসি সচিব

0
.

নির্বিঘ্নে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন ও পূজা দুটোই  ‘পবিত্র’ কাজ হওয়ায় একসঙ্গে অনুষ্ঠানে কোনো সমস্যা হবে না।

সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের একটি আবেদন হাই কোর্ট মঙ্গলবার খারিজ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।

বিকালে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে হবে, এটি সাংঘর্ষিক হবে না। আদালতের আদেশ সবাইকে মানতে হবে। রংপুরের ভোটও পূজার সময়ে হয়েছে। এবারও তা হতে কোনো অসুবিধা নেই। পূজা উৎসবের আমেজে হবে; একই সঙ্গে ভোটও হবে।”

যেসব কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পূজা হবে সেখানে ভোটের আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ সচিব।

তিনি বলেন, “পূজায় যেন সমস্যা না হয় সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করা হবে।… পূজার জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন মানেই এমন নয় যে মারামারি হবে. তাই পূজা করা যাবে না।

“নির্বাচন ও পূজা পবিত্র কাজ। সুতরাং কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।”

ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন, সরস্বতী পূজা ও এসএসসি পরীক্ষাসহ সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিন হিসাবে ৩০ জানুয়ারি ঠিক করেছে। আদালত রিট আবেদন রিট খারিজ করায় ভোট আয়োজনে বাধা নেই। এজন্য সব প্রস্তুতি চলছে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের নেতাদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, “তারা অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আদালত যেখানে রায় দিয়েছে কমিশনের বিষয় না, আদালতের রায়ে তারা শ্রদ্ধা জানাবে বলে আশা করছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে শুনলাম তারা আপিল করতে পারেন, আপিলে কি আসে সে জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তবে পূজা এবং নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে।”

৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের জন্য আদালতে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তার যুক্তি ছিল, ইসির ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ সংবিধানে বর্ণিত প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’।

আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে আদালত আদেশে বলেছে, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। আর নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার দু’দিন পর এসএসসি পরীক্ষা।

“উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, তাই আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হল।”