অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আনোয়ারা তালসারা দরবারের টাকা লুটের মামলা ফের চালু

0
2012-03-18-17-57-16-4f6621fce2dea-untitled-15
.

চার বছর পর পূনরায় চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসারা দরবারের টাকা লুটের মামলা। রবিবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার মামলার অভিযোগপত্রসহ নথি বিচারিক আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। আগামী ২৯ নভেম্বর শুনানির দিনও ঠিক করে দেন তিনি।

মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা প্রধান দুই আসামির আবেদন বাতিল হওয়ার চার বছর পর এ আদেশ দিলেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এএইচএম মশিউর রহমান বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বরই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিও শুরু হতে পারে।

মামলার সাত আসামির সবাই জামিনে আছেন। তারা রবিবার আদালতে হাজিরা দেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যিনি (বিচারক) দায়িত্বে আছেন, তিনিই শুনানি করতে পারবেন। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। বিচার শুরু জন্য মামলাটি প্রস্তুত আছে।

rab-julfikar-talcora-darbar
আদালতে হাজির করা হচ্ছে র‌্যাবের সাবেক পরিচালক জুলফিকার আলী। ফাইল ছবি।

২০১২ সালেই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুলফিকার ও মাহমুদুল হাসান। ২০১৫ সালের ১১ মার্চ জুলফিকারের করা রুল আবেদনটি হাইকোর্টে বাতিল হয়ে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৮ অগাস্ট মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আবেদনটি না চালানোর কথা জানানো হলে সেটিও বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের ওই সব আদেশ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়।

২০১১ সালের ৪ নভেম্বর মাজারটিতে তল্লাশির নামে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র‌্যাবের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।

দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, “জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে দরবার শরিফে রাখা আলমারি ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন দরবার শরীফ থেকে পাঁচ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা । তাদের থানায় হস্তান্তর করা হলেও টাকার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ করেনি র‌্যাব।

পরে ঘটনা জানাজানি হলে র‌্যাব সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে টাকা লুটের ঘটনায় র‌্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।

২০১২ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হন জুলফিকার। তবে ২১ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন তিনি।

এরপর একই বছরের ২৬ জুলাই জুলফিকারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ। এরপর থেকে মামলার অভিযোগপত্র সংশ্লিষ্ট জিআরও শাখায় জমা ছিল।