অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিচারক হত্যায় জেএমবি নেতা আসাদুলের ফাঁসি কার্যকর

0
bicharok-01711862862
এই দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করে জঙ্গিরা।

ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে এই রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেল সুপার কামরুল ইসলাম।

রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে আসাদুলের লাশ তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।

পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, আসাদুলের লাশ দাফন করা হবে তার শ্বশুরবাড়ি এলাকা বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে। সেখানকার ঈদগাহে জানাজা শেষে রাতেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধবিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ আসাদুলসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

এ ঘটনায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক-এর ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল অনেক আগেই। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

এই মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর তিনি আপিল করেন। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। রবিবার রাতে আসাদুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই রায় কার্যকর করা হলো।

প্রসঙ্গত, আসাদুলের মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে এক যুগ পর খুলনা কারাগারে কোনো দণ্ডিতের ফাঁসি কার্যকর হলো। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১০ মে খুলনা জেলা কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।