অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের লাগাতার অবরোধ: শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ

0
.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে লাগাাতার অবরোধ চলছে। বিবাদমান ছাত্রলীগের একাংশের আহবানে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) এ অবরোধ শুরু হয়েছে।

অবরোধ ডাকার ফলে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে কোন যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ।

এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাস ভিক্তি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এবং সিএফসি গ্রুপের মধ্যে মারামারির পর গভীর রাতে চবি প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ ২০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

হাটহাজারী থানা পুলিশ জানায় রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বস্তাভর্তি কাঁচের বোতল।

.

হাটহাজারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রাখতে রাতে অভিযান চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ফোর্স রাখা হয়েছে।

জানাগেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে চবি’র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই সংগঠন। সিএফসি কর্মী শামীম আজাদকে মারধর করে বিজয়ের কর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের তিন কর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় বিজয় পক্ষের নেতাকর্মীরা।

হামলায় আহতরা হলেন- বিজয় পক্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের আবু বক্কর সিদ্দিক, আইন অনুষদের একই বর্ষের অপূর্ব, গণিত বিভাগের রাওফান এবং সিএফসি পক্ষের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শামীম আজাদ। এদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিকের হাতে ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুটি পক্ষই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাস সুত্রে জানা গেছে।

এদিকে পৃথক অপর এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন সংলগ্ন একটি খাবারের দোকানে বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন পক্ষের দুই কর্মীকে মারধর করে রেড সিগন্যাল পক্ষ। এতে ২ জন আহত হয়। দুই পক্ষই চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এসব ঘটনার জেরে দোষীদের আটকের দাবিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটক ও শহরগামী শাটল ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা। পরে প্রক্টর দোষীদের আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে আটকের আশ্বাস দিলে তারা শাটল ও মূল ফটক ছেড়ে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। হলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সবপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।