অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তান হওয়ার পরও কোকো ছিলেন নিরহংকারী

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও ছিলেন সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্থ। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচারবিমূখ এবং নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম হলেও তিনি রাজনীতিক হিসাবে নয় একজন ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে বেশী পরিচিত ছিলেন। ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নে ছুটে বেড়িয়েছেন শহর থেকে গ্রামে। ক্রিকেট বোর্ডেও উপদেষ্টা হিসবে তিনি ক্রিকেটের উন্নয়নে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে ক্রিকেট দল।

তিনি ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার বিকালে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো’র ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

.

এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারী দেশের গণআন্দোলনের এক শ্বসরুদ্ধকর সময়ে বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের নিজ কার্যালয়ে পুলিশী অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ায় আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরাফাত রহমান কোকো। তার অকাল মৃত্যুতে দেশব্যাপি শোকের মুহ্যমান হয়ে পড়েছিলেন। ১/১১ সরকারের সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতার পর রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচন্ড নির্যাতন করে তাকে পুঙ্গু করা হয়। নির্যাতনের ফলে কোকোর হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।

কোকোর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাদে জুমা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি সুস্বাস্থ্য কামনা এবং জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন।

এদিকে  আরাফাত রহমান কোকোর স্বরণে বিকাল ৩ টায় নগরীর চকবাজারস্থ টাকশাহ মসজিদে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন মোহাম্মদ রিমনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার, স্বাস্থ্য বিষযক সম্পাদক ডা. এস এম সরওয়ার আলম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিন মাহমুদ, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, আলমগীর নূর, আলী আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, গোলজার বেগম, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, মো. সেকান্দর, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, মনজুর কাদের, হাজী মো. জাহেদ, মোস্তাক আহমদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের সহসম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, কোকো স্মৃতি সংসদ’র আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, মিজানুর রহমান মোস্তফা, গোলাম শফি দুলু, এস এম ইউসুফ, নাজমুল হায়দার, ইমতিয়াজ উদ্দিন, ওমর কাইয়ুম, সাইফুদ্দিন ওয়াসিম, সাইফুল ইসলাম সায়েল, শাহরিয়ার আহমদ, শাহাদাত রাসেল, মো. ইউসুফ, ইফতেখার করিম, নাজিম উদ্দিন নয়ন, প্রমুখ।