অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াতে ভিসা পদ্ধতিকে সহজ করা হয়েছে-ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার

0
.

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে ভারতবাসী আনন্দিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

গকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের উন্নতি এখন বিশ্বের কাছে উদাহরণ। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করায় বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে আমরা ভারতবাসীরা আনন্দিত।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াতে ভিসা পদ্ধতিকে সহজ থেকে সহজতর করা হয়েছে। ২০১৮ সালে শুধু চট্টগ্রাম থেকেই ১ লাখ ৯০ হাজার লোককে আমরা ভিসা দিয়েছি। এটি একটি রেকর্ড।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, খুব শিগগির আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিকী একসঙ্গে পালন করবো। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ও ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর ৫০ বছর পূর্তি। এ দুটি ঐতিহাসিক দিবসকে স্বরণীয় করে রাখতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানো হবে। আমরা আমাদের কূটনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্কগুলোকে সোনালী অধ্যায়ের ঊর্ধ্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।

.

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের জনগণের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসীর সহায়তা এদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছে তাতে নতুনমাত্রা যোগ করেছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। সারা দেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে। আশা করি, ভারত সরকার অতীতের মতো বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এমএ লতিফ, আবু রেজা নদভী, নজরুল ইসলাম,সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি সুভাশিষ সিনহা, অ্যাটাসি এমডি পুরাকায়েস্ত, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাবেক মেয়র মনজুর আলম মনজু, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মো. আলী হোসেন চৌধুরী সোহাগ,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়, চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শক্তিনাথানন্দ,হিন্দু ধর্মী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন,মাইনরিটি ওয়াচ্ কক্সবাজার জেলা সভাপতি চঞ্চল দাশ গুপ্ত প্রমুখ।