অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইশরাকের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিশ্বমানের বাসযোগ্য আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার অঙ্গিকার

0
.

বিশ্বমানের বাসযোগ্য আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইশরাক এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

.

ইস্তেহার ঘোষণাকালে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন- রাজধানীবাসী সীমাহীন নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত। নাগরিক জীবনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নগরবাসীর চিন্তা- চেতনার সাথে আমিও শরিক। দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, জনগণের প্রতি সংবেদনশীলতার অভাব, সামাজিক বৈষম্য, জবাবদিহিতার অভাব, জনসচেতনতার অভাব এবং সর্বোপরি পরিষেবা উৎপাদন ও বিতরণে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকার ফলে পরিষেবাগুলাের সুফল জনগণ পায় না। গণতান্ত্রিক ও সামাজিক মূল্যবােধে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐতিহাসিক ঢাকার ছেলে হিসেবে আমি ইশরাক হােসেন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্মিলনে যানজট-দূষণমুক্ত, পরিবেশসম্মত, ভারসাম্যমূলক সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে একটি বিশ্বমানের ঢাকা ‘world class Dhaka metropolis’ গড়ার পরিকল্পনা আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত নগরবাসীর কাছে তুলে ধরছি। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সমর্থন ও আন্তরিক সহযােগিতা এবং নির্ভেজাল সততা ও সমতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সকলে মিলে। কাজ করলে এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন অবশ্যই সম্ভব।

.

ইশতেহাতে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তা হল-

যানজট নিরসন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন:

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।

গ্রুত্বপূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির রাস্তার সংস্কার ও প্রয়ােজনীয় টেকসই রাস্তা পারাপারে প্রয়ােজনীয় স্থানে অধিক সংখ্যক আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ ও সুপরিকল্পিত পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।

প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে পর্যায়ক্রমে এলিভেটর/এস্কেলেটর (চলন্ত সিড়ি) স্থাপন ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

নগরীতে ওয়ান স্টপ বাস সার্ভিস চাল, মুক্তিযােদ্ধা, বয়স্ক, অন্ধ, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা হবে।

মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধাসহ অত্যাধুনিক ও পরিচ্ছন্ন যাত্রী বিশ্রামাগার এবং টাউটমুক্ত যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন বাস টার্মিনাল উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।

যেসব এলাকায় রাস্তায় ফুটপাত নেই প্রয়ােজনীয়তার নিরিখে সেখানে ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রয়ােজনে বিদ্যমান ফুটপাত সংস্কার, আধুনিকায়ন ও প্রশস্তকরণ করা হবে।

রাজধানীর বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ করে রাত্রিকালে নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে দিতে সদরঘাট। লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত ও নিরাপদ সিটি পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।

জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রশিক্ষিত নিরপেক্ষ কমিউনিটি পুলিশ গড়ে তােলা হবে। হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিদ্যমান পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় বহুতল পার্কিং ভবন, পার্কিং লট ও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্চর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, সালাউদ্দিন আহমেদ, হাবীব উন নবী খান সোহেল, নবী উল্লাহ নবী, আফরোজা আব্বাসসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এমাজউদ্দিন আহমেদ, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আসম আব্দুর রব, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন