অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিনা উস্কানীতে নাসিমন ভবনে পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জ: ছাত্রদলের দুই কেন্দ্রিয় নেতাসহ আটক ৫

0
ছাত্রদলের প্রতিনিধি সভা। নীচে আটক কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতা মাহমুদ সর্দার ও নগর ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক বুলু।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা শেষে নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার সময় মহানগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫ জনকে আটক করেছে।

তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় পুলিশ ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলম সর্দার  (৩৪), মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন নীলয় (৩৫), চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু (৪৩), পটিয়া পৌরসভার সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল (৩০) ও কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৪)।

প্রতক্ষ্যদর্শী  নগর ছাত্রদল নেতা সামিয়াত আমীন জিসান জানান, পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সি. সহ সভাপতি মাঈনুদ্দিন মোহাম্মদ শহীদ। তাকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজসহ অন্তত ৭/৮ জন নেতাকর্মী।

পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মাঈনুদ্দিন শহীদসহ অন্যরা।

নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ জানান, কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে সফরত কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের প্রতিনিধি দলের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের তীণমূল নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভার আয়োজন ছিল নাসিমন ভবনের মাঠে। রাত ৯টার দিকে সভা শেষে নেতাকর্মীরা চলে যাবার সময় কোতোয়ালী থানা পুলিশ বিনা কারণে কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের নেতা শ্রাবনকে আটকের চেষ্টা করলে নেতারা বাধা দিয়ে আটকের কারণ জানতে চায়। এতে পুলিশ মারমুখি হয়ে লাঠি পেটা এবং ফাঁকা গুলি চালায়। আমাকে সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে গাড়ীতে তুলে নেয়। আমি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যাই। এতে আমি আহত হই।

কোতোয়ালী থানার ওসি মহসীন ৫ ছাত্রদল নেতাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে পুলিশ ৪ রাউন্ড চালিয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন।