অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কেনিয়ার প্রাইমারি স্কুলে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ১৩ ছাত্র নিহত: আহত ৩৯

0
.

পশ্চিম কেনিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাড়াহুড়া করে এক সঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে ১৩ জন শিক্ষার্থী  নিহত ও অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছেন।

জানাগেছে, ক্লাস টিচারের পিটুনি খেয়ে ছাত্ররা ভয়ে হুড়াহুড়ি করে স্কুলের সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) পশ্চিম কেনিয়ার কাকামেগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মর্মান্তিক এই হতাহতের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্কুলের অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

৩৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, কাকামেগা  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও ২০ জন শিক্ষার্থী স্হানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক একজন ছাত্রকে বেধড়ক পিটুনি দিলে ক্লাসের অন্যআন্য ছাত্ররা ভয়ে পালানোর জন্য ক্লাস থেকে বের হলে সিঁড়িতে হুড়াহুড়ি করে পড়ে ঘটনাস্থলে ১৩ ছাত্রের মৃত্যু হয় এবং ৩৯ ছাএ আহত হয়।

পশ্চিম অঞ্চলের পুলিশ কমান্ডার পেরিস কিমানির বরাত দিয়ে ডেইলি নেশন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, কাকামেগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩৯ জন ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে।

রেডক্রস কেনিয়ার মুখপাত্র পিটার আবওয়াও বলেছিলেন, “বাচ্চারা যখন স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছিল তখন সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় হতাহত হয়েছিল।” কিছু প্রতিবেদনে সিঁড়ি ধসে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রেডক্রসের কর্মীরা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ডেইলি নেশন জানিয়েছে, দৌড়ানোর সময় কিছু শিশু তৃতীয় তল থেকে পড়েছিল

উদ্বিগ্ন বাবা-মা কাকামেগা হাসপাতালের বাইরে তাদের বাচ্চাদের খবর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, নেশন ছবিতে দেখা গেছে।

এই দুর্ঘটনার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়, তবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডেঙ্গা টুইটারে এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন: “কাকামেগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ভাগ্যজনক ও আফসোসজনক ট্র্যাজেডিতে প্রিয়জনদের হারিয়ে যাওয়া পিতামাতার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।

“আমি আহত শিশুদের দ্রুত পুনরুদ্ধার কামনা করছি এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সৃষ্টিকর্তা শক্তি দান করুন”।