অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডের জেলে পাড়াতে ফাঁসিতে ঝুলে যুবকের আত্মহত্যা

0
.

সীতকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

জেলার সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় অপু জলদাশ (২৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার রাত সাড়ে আটটার সময় উপজেলার ভাটিয়ারীর মির্জানগর জেলে পাড়া এলাকার একটি ঘর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

অপু জলদাসের পরিবারের দাবী এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। অপু জলদাশ নগরীর বন্দর থানাধীন হোন্দল পাড়ার নেপাল জলদাশের পুত্র। সে দীর্ঘদিন যাবত ভাটিয়ারীস্থ মির্জানগর এলাকায় নানার বাড়িতে বসবাস করছে।

খবর পেয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতাল রির্পোট তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করেন। জানা যায়, অপু জলদাস দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে একই এলাকার মৃত রতন জলদাশের পরিবারের সাথে যৌথভাবে মাছের ব্যবসা করে আসছে। এ কারণে মৃত রতন জলদাশের পরিবারের সাথে তার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠে। রতন জলদাস গত বছর বজ্রপাতে মারা যাওয়ার পর তার ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া করে অপু।

বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, রতন জলদাশের স্ত্রী সীমা দাশের সাথে অপুর পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়া অপুর স্ত্রী মাদবী দাশের দাবী রুবেল দাশ নামের আরেক যুবকের সাথে সীমার সম্পর্ক রয়েছে। এঘটনা সূত্রে ধরে অপুকে মেরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করছে অপুর মামা জীবন জলদাস।

স্থানীয় এলাকাবাসী ধারণা করছে মৃত রতন দাশের স্ত্রী সীমার সাথে অপু এবং রুবেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সীমার সাথে রুবেলের প্রেমের সম্পর্কের কথা অপু জেনে যাওয়ায় অপুর সাথে এ নিয়ে মনমানিল্য হয়। যার ফলে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সীমার ঘরে এসে রাতে সবার অলক্ষ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে আত্নহত্যা করে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে সীমা দাশ বলেন, অপু মাছের ব্যবসা করার কারণে প্রতিদিন আমার ঘরে আসতো, আজ এলাকায় পুঁজো থাকায় আমরা ঘরে ছিলাম না। রাতে ঘরে এসে দেখি সে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে। কেন সে আত্নহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছিনা।

এদিকে অপুর স্ত্রী মাধবী, পিতা নেপাল জলদাশের দাবী সীমা অপুকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন, ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন ও আলমগীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এব্যাপারে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করি। পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।