অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মামলা ও ঋণমুক্ত রেজাউল: অর্ধশত মামলার ভারে জর্জরিত শাহাদাত

0
.

ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর নামে মোট ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৮ টাকা অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার নামে কোনো ধরনের ব্যাংক ঋণ নেই। তিনি ব্যাংক বা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি।

নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় এসব তথ্য দাখিল করেছেন তিনি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা রেজাউলের নামে থানায় বা আদালতে কোন ধরণের মামলা বা অভিযোগ নেই।

কিন্তু তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি নেতা ডাক্তার শাহাদাত হোসেন মামলার ভারে জর্জরিত। হলফনামায় উল্লেখ আছে তার বিরুদ্ধে আদালতে ও নগরীর বিভিন্ন থানায় ৪৮টি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার চসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে অন্যান্য প্রার্থীদের মত রেজাউল করিমও তার মনোনয়নপত্রের সাথে নিয়ম অনুযায়ী নিজের সম্পদের হিসেব দাখিল করেন নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কার্যালয়ে।

হলফনামায় তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, নিজের ও নির্ভরশীলদের মিলে তার বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা। রেজাউল করিম চৌধুরীর মোট অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে আছে নগদ ১ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯০ টাকা। পোস্টাল, সেভিংসে নিজ নামে না থাকলেও স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড।

নিজ নামে রয়েছে একটি ৪ লাখ টাকা দামের মোটর গাড়ি। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে বিবাহসূত্রে নিজ নামে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২০ তোলা স্বর্ণ ও স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪০ তোলা স্বর্ণ আছে।

বিবাহসূত্রে নিজ নামে ১০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও এক লাখ টাকার আসবাবপত্র আছে তার। অন্যান্য অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূলধন ২ লাখ টাকা ও ফার্মের মূলধন দশ লাখ ৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি মেসার্স চৌধুরী ইলেকট্রনিক্স ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ফার্মের মূলধন ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা ও ঋণ হিসেবে প্রদত্ত চার লাখ টাকা।

রেজাউল করিম চৌধুরীর নিজের বার্ষিক আয় বাড়ি এপার্টমেন্ট, দোকান থেকে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা, ব্যবসায় নিজের কোনো আয় না থাকলেও নির্ভরশীলদের আয় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ফার্মের শেয়ার থেকে নিজের আয় দুই হাজার ১০০ টাকা ও নির্ভরশীলদের আয় ৫০ হাজার ৩০০ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রেজাউল করিম চৌধুরীর নিজের নামে কৃষি ও অকৃষি জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ গন্ডা দুই কড়া অকৃষি জমি। দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পদের মধ্যে নিজ নামে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ভূমির ওপর আবাসিক গৃহমূল্য এক লাখ টাকা ও যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত চার ভাগের এক অংশ। নিজ নামে চারটি এপার্টমেন্ট যার মূল্য এক কোটি নয় লাখ ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা।

এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নামে কোন ঋণ ও দেনা নেই।

চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকার খ্যাতনামা বহদ্দার বাড়ির হারুন অর রশীদ চৌধুরী বড় সন্তান রেজাউল করিম চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ। রাজনৈতিক জীবনে কোনো মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হননি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী এ রাজনীতিবিদ মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ও জাতীয় পাটিসহ বিভিন্ন দলের মোট নয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়াও চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ২৭৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে-সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।