অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

0
1477116275
.

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটের দিকে এই সম্মেলন শুরু হয়।

এর আগে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাকে সাজানো হয়েছে নবরূপে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে ঢাকা। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ধারাকে সমুন্নত রেখে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেট অংশ নেবেন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে সম্মেলনে।
অপরাহ্নে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের খাবারের পর অহরাহ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ  প্রত্যেক জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকরা সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করবেন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনে শুধু কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকবেন। প্রথমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। এরপর ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সংযোজন-বিয়োজন হবে। দলের তৃণমূলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এরপর বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মসিউর রহমান এবং সাবেক সচিব রাশিদুল আলমের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রথমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আহ্বান করবেন। একাধিক প্রার্থী না থাকলে প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে শীর্ষ দুই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এরপর কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
pm
.

এদিকে কোনো পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে ভোট হবে এবং ভোটের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপারও সংগ্রহ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী একাধিক নেতা জানান, সাধারণত কাউন্সিলররা নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় এবং কাউন্সিলররা তা একবাক্যে সমর্থন করেন। সভাপতির ওপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন কাউন্সিলররা। এবারও একই পদ্ধতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নেতা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবার মূল আলোচনায় রয়েছে কে হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক? সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই থাকছেন, নাকি নতুন কেউ আসছেন এ নিয়ে দলের ভিতরে কৌতূহলের অন্ত নেই।

শেখ হাসিনা ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরো তিন সদস্য কাউন্সিলর
এবারই প্রথম শেখ হাসিনা ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরো তিন সদস্য আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাকে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় কাউন্সিলর হয়েছেন রংপুর থেকে। প্রধানমন্ত্রীর জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেনকে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
বর্ণিল সাজে সেজেছে  রাজধানী
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বর্ণিল সাজে সেজেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, সম্মেলন স্থলে চোখ ধাঁধাঁনো আলোকসজ্জার ব্যবস্থাসহ নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারসহ অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে উদ্যানটি। নজরকাড়া সাজসজ্জা আর ব্যাপক উত্সাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্মেলন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নৌকা আকৃতির বিরাট মঞ্চ। সাজানো হয়েছে চারপাশ তথা পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকা। আলোকসজ্জার পাশাপাশি গাছগুলোতে করা হয়েছে সাদা-লাল রং। মঞ্চে যাওয়ার রাস্তাগুলোয় আলোকসজ্জার পাশাপাশি সম্মেলনের পোস্টার-ব্যানার দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা-উপজেলার উল্লেখযোগ্য সড়ক, স্থান ও স্থাপনা সাজানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। সন্ধ্যা হলেই লাল-নীল আলোয় রঙিন হয়ে উঠছে শহর-বন্দর-রাজপথ। একইভাবে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন এবং তার সরকারি কার্যালয়সহ রাজধানীর উল্লেখযোগ্য সড়কগুলো বিভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোও সম্মেলন উপলক্ষে রঙিন করে সাজানো হয়েছে। রংবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো সম্মেলনস্থল। মঞ্চের দুপাশে রাখা হয়েছে দলীয় সাবেক নেতাদের প্রতিকৃতি। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্মেলনস্থলে উপস্থাপন করা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের চিত্র। সম্মেলন উপলক্ষে দলটির সব জেলা কার্যালয়ও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
অতিথিরা ঢাকায় পৌঁছেছেন
অধিকাংশ কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ইতিমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তারা ঘুরছেন সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি সভানেত্রীর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরাও সম্মেলন দেখার জন্য ঢাকায় এসে ভিড় করছেন। কাউন্সিলর ও সমর্থকরা এবারের সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধ। তারা বলেন, এত জাঁকজমকপূর্ণ কাউন্সিল আগে দেখেননি। তবে এখন তাদের কাছে সাজসজ্জা ছাপিয়ে মূল আলোচনা আগামী কাউন্সিলে কে কোন পদ পেতে পাচ্ছেন। সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারত, শ্রীলংকা, বৃটেন, রাশিয়া, গণচীন, ইতালি, ভূটানসহ ১১টি দেশের ৫৫ জন আসছেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির কাজও শেষ হয়েছে।
নৌকা আকৃতির দেড়শ ফুট  কাঠামোর উপর মঞ্চ
সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ পাশে দলীয় প্রতীক নৌকা আকৃতির দেড়শ ফুট কাঠের কাঠামোর উপর মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের দুটি স্তর রয়েছে। উপরের স্তরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বসবেন। নিচের স্তরটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য রাখা হয়েছে। মঞ্চের সামনে বিদেশি অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পেছনে অতিথি, কাউন্সিলর ও পর্যবেক্ষক মিলিয়ে ২০ হাজার জনের ব্যবস্থা থাকছে। মঞ্চের পেছনে দলীয় সভানেত্রীর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিশ্রাম কক্ষ করা হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের জন্যও মঞ্চের পেছনে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা কক্ষ ও শৌচাগার করা হয়েছে। মঞ্চের দুপাশে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতাদের দলীয় পতাকা উড়ানোর জন্য ৭৮টি স্ট্যান্ড রাখা হয়েছে। উদ্যানে ঢোকার ছয়টি প্রবেশ পথও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। শুধু দেশেরই নয়, প্রবাসী বাঙালিদেরও দৃষ্টি এখন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকে। আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দলটি কেমন নেতৃত্ব আনছে, ঘোষণাপত্রে কী ঘোষণা থাকছে, সেটি দেখার অপেক্ষায় এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষ।
শিশু পার্কের পাশের ফটক দিয়ে প্রবেশ করবেন শেখ হাসিনা
শিশু পার্কের পাশের ফটকটিতে বড় তোরণ তৈরি হয়েছে। এই ফটক দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশ করবেন। বিদেশি অতিথিরাও এই ফটক ব্যবহার করবেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ফটকটি রাখা হয়েছে ভিআইপি অতিথিদের জন্য। চারুকলার সামনের ছবিরহাটের ফটক, টিএসসির ফটক, বাংলা একাডেমির সামনের ফটক, তিন নেতার মাজার সংলগ্ন ফটক দিয়ে কাউন্সিলর-পর্যবেক্ষকরা প্রবেশ করবেন। এ ছাড়া মঞ্চ এবং আশপাশের ২৮টি এলিডি পর্দায় পুরো অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে। উদ্যান এলাকা থাকবে ওয়াইফাইয়ের আওতায়। মঞ্চের বাম পাশে রাখা হয়েছে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বাংলা একাডেমির ফটকের ভেতরে সিআরআই, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্টল করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা চেয়ার বসানো হয়েছে।
এ দিকে সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তোরণগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের বিভিন্ন আলোকচিত্র সাঁটানো হয়েছে। তা ছাড়া সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্য সন্নিবেশিত রয়েছে লিফলেট, ব্যানার ও পোস্টারে। সম্মেলনে মোট ১৫টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২০ জন ফোর্স, ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও দুজন করে কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন। সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের হাতে দেওয়া হবে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও সিডি। সেখানে জঙ্গিবাদের পক্ষে দেওয়া তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্ন করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলন স্থল, প্রবেশপথসহ চারপাশে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছে সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপ-কমিটি।
খাদ্য উপ-কমিটির  ব্যাপক প্রস্তুতি
সম্মেলনে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য খাদ্য উপ-কমিটি নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দুদিনের এ সম্মেলনে আসা কাউন্সিলর ও অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ক্যাটারিং সার্ভিসকে খাবার সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোরগ পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, ফিরনি, কোমল পানীয়, পানি ও পান দিয়ে আপ্যায়িত করা হবে তাদের। প্রতি বেলা ৫০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে তৈরি করা হয়েছে অভ্যর্থনা গেট। সেখানে অপেক্ষারত স্বেচ্ছাসেবকরা আগতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। ঢাকার স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য ক্যাম্প
সম্মেলন স্থলে স্বাস্থ্য ক্যাম্প গড়ে তোলার পাশাপাশি রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে থাকছে স্বাস্থ্য ক্যাম্প। প্রতিটি ক্যাম্পে চিকিত্সকের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কাজে লাগে এমন সব ধরনের ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। সম্মেলন স্থলে থাকবে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স।
থিম সং গাইবেন  বাপ্পা মজুমদার
সম্মেলনে উদ্বোধনী অধিবেশন এবং প্রথম দিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরই মধ্যে থিম সং গাওয়ানো হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদারকে দিয়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তা পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া থাকবে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিজ নিজ সংস্কৃতির গান ও নাচ।