অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটিতে নৌ-বাহিনীতে চাকুরির নামে অর্থ আত্মসাতের দায়ে যুবকের ৫ বছর কারাদন্ড

0

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি শহরের বেকার যুবককে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে চাকুরি দেওয়ার নামে সাড়ে সাত লাখ টাকা আত্মসাত করার মামলায় সুমন নামে এক প্রতারককে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

প্রতারক সুমন এর বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত সি.আর-১৭৭/১৯ মামলায় আজ সোমবার রাঙামাটিস্থ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এন.এম. মোরশেদ খান এর আদালত এই রায় প্রদান করেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মনজুরুল ইসলাম জানান, বিগত ২০১৯ সালের ০৭মে আদালতে হাজির হয়ে মোঃ আব্দুল মাবুদ বাদী হয়ে আসামী আবুল হোসেন সুমন এর বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত নালিশকারীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিগত ১২/১২/২০১৯ তারিখে আসামী আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

আদালত সাক্ষীগ্রহণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার দুপুরে আসামী আবুল হোসেন সুমন এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২০ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ০৫(পাঁচ) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত অনাদায়ে আরো ০৬(ছয়) মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

এদিকে, জামিনে থাকা প্রতারক সুমন আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায়ের বিষয়টি তার নজরে আসলে সে আদালতে সময়ের আবেদন জানিয়ে আদালত প্রাঙ্গন থেকে সটকে পড়ে।

জানাগেছে, রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু আলম এর বড় ছেলে আবুল হোসেন সুমন নৌ-বাহিনীতে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর শহরের তবলছড়ি এলাকার বাসিন্দা মরহুম মমতাজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আব্দুল মাবুদ এর কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে চাকুরি নাদিয়ে প্রতারনা করে টাকাগুলো পরিশোধ করতে অস্বীকার করে সুমন। বিষয়টি উল্লেখ করে সেসময় প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রতারক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন আব্দুল মাবুদ।

এদিকে প্রতারক সুমন বিভিন্ন সময়ে নানা মানুষের কাছ থেকে আরো বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা সময়ে সে নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ এর অফিসার, কখনো কখনো নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার আবার কখনো দুদকের পরিচালকের নিকটাত্মীয় পরিচয় দেয় নিজেকে।

ভূক্তভোগীদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত থেকে তথ্যে জানাগেছে, মসজিদ বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, দূদকের ভয় দেখিয়ে সুমন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছে।