অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাঃ শাহাদাত বিপুল ভোটে জয়ী হবে- নোমান

0
.

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

আজ ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কবর জেয়ারত করেছেন বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

১০ টায় লালিয়ার হাটে মরহুমের কবর জেয়ারতে যান তারা। পরে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের লালিয়ার হাট, আমান বাজার, খোসাল শাহ সড়ক, বড়দিঘীর পাড়, ভাটিয়ারি রোড, ৩ নং বাজার, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, চড়ারকূল, স্টেশন রোড, সন্দ্বীপ কলোনী, ২ নং জালালাবদ ওয়ার্ডের বালুছড়া বাজার, ইব্রাহীম কটন মিল, নতুন পাড়া, তুফানী রোড, খন্দকিয়া হাট, জমাদার পাড়া, কূলগাঁও, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের অক্সিজেন মোড়, রউফাবাদ, মুরাদ নগর, কামরাবাদ, ছামাদপুর, হাজীপাড়া, খন্দকার পাড়া, চালিতাতলি সড়কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন আবদুল্লাহ আল নোমান। এ সময় নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন। নেতা কর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করে জনগণের কাছে মেয়র পদে ডাঃ শাহদাত হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য ভোট চান।

.

এ সময় আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, চসিক নির্বাচনে জয় লাভের জন্য আমরা অংশ নিয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ডাঃ শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হবে। বুলেটের চেয়ে ব্যালট শক্তিশালী। ২৯ মার্চ চট্টগ্রামবাসী ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ৯০ এর গণ আন্দোলনের পর লালদিঘীর মাঠে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে এসে আমরা বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মন্ত্রী পরিষদে বিল পাস করি। শুধু নগরী নয় বৃহত্তর চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তা বাস্তবায়ন করেনি। আজ পত্রিকায় দেখলাম আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধূরী চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্ন হলো, এটাতো অনেক আগেই বিএনপি বাস্তবায়িত করে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার এটা করেনি কেন? তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। সরকার আসছে সরকার যাচ্ছে কিন্তু জলাবদ্ধতার ব্যাপারে কিছুই হচ্ছেনা। আমাদের সুযোগ্য মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ছাড়াও কর্পোরেশনের মাধ্যমে যে সব উন্নয়ন কাজ করা দরকার আমরা করবো। আমি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেটে আলাদা অর্থ বরাদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।

এসময় বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, যে এলাকায় গণসংযোগ করছি এই এলাকাগুলো অবহেলিত। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। আমি সবার সাথে মতবিনিময় করে সব কিছু চিহ্নিত করে পরিকিল্পতভাবে উন্নয়নের জন্য এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, আপনাদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ধানের শিষে ভোট দিবেন। জনগণের দল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে উন্নতি হয়েছে। সেজন্য জনগণ আমাদেরকে চায়। কিন্তু দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলার কারণে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এবার আপনারা ভয়কে জয় করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশ নেত্রীকে মুক্ত করতে সহায়তা করবেন।

তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর করার জন্য আমরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। আমি জনগণের কাছে যেখানেই যাচ্ছি তারা আমাকে বিপুল সাড়া দিচ্ছে। এই চট্টগ্রাম শহরে আমার বেড়ে উঠা। ৩৪ বছর ধরে এই চট্টগ্রামের রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বাকলিয়া থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের সব জায়গায় আমার পদচারণা। এই চট্টগ্রামকে সাজাতে কি দরকার কিভাবে সুন্দরভাবে সাজাতে হয় তা আমার জানা আছে। চট্টগ্রামকে সুন্দর ও নান্দনিক শহর করার একটা প্রয়াস আমার সব সময় ছিল। আমি এটা নিয়ে কাজ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সফিয়ান, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোঃ হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোস্তাক আহাম্মদ খান, বিএনপি নেতা ইকবাল চৌধূরী, এস. এম. আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল, নুর মোহাম্মদ, শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, কামরুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াকুব চৌধুরী, ফাতেমা বাদশা, আব্দুল্লাহ আল হারুন, রফিকুল ইসলাম, জাকারিয়া সেলিম, মোঃ ইদ্রিস আলী, ডাঃ মোঃ ফরিদ, জেলী চৌধুরী, আব্দুল কাদের জসিম, মোঃ বেলাল, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইলিয়াছ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, বিএনপি নেতা সেলিম চেয়ারম্যান, মো: জাকের হোসেন, সোলাইমান মন্জু, এস. এম. আবুল কালাম আবু, মামুন আলম, গাজী ইউসুফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবছার উদ্দীন, মোঃ ফোরকান, আজগর হোসেন আজু, মোঃ শাহজাহান, এম. ইলিয়াছ আলী, খোরশেদ আলম, শাহজাহান মঞ্জু, সরোয়ার জাহান পুতুল, আব্দুল করিম, সৈয়দ মহসিন, সৈয়দ ইকবাল, নাজিম উদ্দিন, এস. এম. আলী, নুরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল আলম, শাহেদুল আজম, আবুল মনছুর, মোঃ জাবেদ, নাছির উদ্দীন, শাহজাহান খান প্রমুখ।