অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো-ডা. শাহাদাত

0
.

ভোট চাওয়ার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবুও আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এ প্রচারণা চালান।

তিনি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সাথে নিয়ে জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি টাওয়ারের মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে মুরগি ফার্ম, ওয়ারলেস, পাহাড়তলী কলেজ, ঝাউতলা কোলোনি, ঝাউতলা বাজার, সর্দার নগর, আম বাগান, ভাঙ্গাপুল, বাস্তহারা, ওয়ার্কশপ গেইট হয়ে রেলওয়ে স্কুলে এসে শেষ করেন।

এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। চট্টগ্রামকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ, সাম্য ও সম্প্রীতির শহরে পরিণত করতে চাই।

একটি আইটি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্মার্ট, আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ার জন্য নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।

তিনি বলেন, গতবছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার তৈরি করা ক্লোরিন সলিউশন বানিয়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরি করেছিলাম।বাংলাদেশের জন্য এটা একটা উদাহরণ ছিল। প্রতিটি জায়গায় ব্লিচিং পাউডারের সাথে পানির মিশ্রণ করে সারা চট্টগ্রাম শহরে ছিটিয়েছি। যেটা পরে সিটি কর্পোরেশন অনুসরণ করেছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপি যেভাবে গণসচেতনতা তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু মশা এবং মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন,চসিক নির্বাচনে আমরা জয়ের জন্য মাঠে নেমেছি। জয়ের মাধ্যমে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।আমি নগর পিতা নই,নগর বাসীর সেবক হতে চাই। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে আপনাদেরকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আমাদেরকে বিজয়ের মালা পরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি ২০% লোকের মেয়র হতে চাই না, ৮০% মানুষের মেয়র হতে চাই। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করুন। জনগণের পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত।

এ সময় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, চট্টগ্রামে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের জন্য মাঠে নেমেছে বিএনপি। বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। সরকারের সকল অপকর্মের জবাব দিতে সবাই এখন সোচ্চার। বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাত হোসেন একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি।একজন পেশাজীবী হিসেবে তিনি সকলের কাছে পরিচিত।তাই ভয়কে জয় করে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে হবে।তিনি ডা. শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে ১৭ টি পয়েন্টের উপর ভিক্তি করে লালদিঘীর মাঠে বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।এখন নিবার্চনে এসে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধূরী আমাদেরকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।এটা একধরনের বিভ্রান্তিকর।এসব বক্তব্য চট্টগ্রাম বাসীর সাথে প্রতারণার সামিল।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এস কে হুদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ফাতেমা বাদশা, আব্দুল হালিম স্বপন, জেলী চৌধুরী, এম আর মঞ্জু,মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছকিনা বেগম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক এস এম আজাদ, নগর যুবদল নেতা আব্দুল হামিদ পিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, তানভীর মল্লিক, হাসান আল মামুন, জিয়াউর রহমান জিয়া, হেলাল হোসেন, বাদশা আলমগীর, মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ সরোয়ার, মোহাম্মদ মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।