অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে নান্দনিক সাজে “রাঙামাটি পার্ক”

0

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার থেকে রাঙামাটি পার্ককে নতুনভাবে সাজিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক। সোমবার রাতেই পার্কে নতুন করে বসানো হয়েছে নান্দনিক বকপানির ফোয়ারা, আকর্ষণীয় ইলেকট্রিক প্লেন, ট্রয় ট্রেন, ময়ুর-কাকাতোয়ার ভাস্কর্যসহ ব্যায়াম করার আধুনিক ব্যায়াম দোলনা।

সোমবার রাতেই এসব জিনিসপত্র স্থাপন করা হয়েছে এবং আজ মঙ্গলবার থেকে জেলা শহরের শিশুরাসহ আগত পর্যটকবৃন্দ আগের চেয়ে অধিক বিনোদন উপভোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক একেএম মানুনুর রশিদ।

সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে নিজ বাসভবনে না গিয়ে সোমবার সন্ধ্যারাতে এসব বিনোদন সামগ্রী স্থাপন কাজ সরেজমিনে দেখতে এসে জেলা প্রশাসক বলেন, আমি রাঙামাটি পার্কটিকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।

ইতিমধ্যেই পার্কটিতে বাঘ, হরিণ, সিংহ, ডোরেমন, জিরাফ, স্প্রিং ঘোড়া, দোয়েল পাখি, বক, ছোট স্লিপার, বড় স্লিপার, মেরিগো, ঢেঁকি, কাঠ বিড়ালী, প্রজাপতি, ঘোড়ার ভাস্কর্য স্থাপন করে পার্কটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছি। এছাড়াও পার্কের ভেতরে চালু করা হচ্ছে ক্যাফেটেরিয়া। পর্যটকসহ দর্শনার্থীদের জন্য পার্কের শেষ প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে ওয়াশ রুম।

রাঙামাটিবাসীর নির্মল এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে সম্পূর্ন ধুমপানমুক্ত পার্ক ঘোষনা করা হয়েছে মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক জানান, খুব শীঘ্রই পার্কের ভেতরে চালু করা হবে নান্দনিক ঝর্ণা। এই ঝর্ণায় দর্শনার্থীরা চাইলেই গোসলও করতে পারবেন। এছাড়াও সেলফি ফটো ফ্রেমও স্থাপন করা হবে। রাঙামাটিবাসীর নির্মল বিনোদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে রাঙামাটি পার্ককে ধাপে ধারে রূপান্তর করার চেষ্ঠা করছেন বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

এদিকে পার্কটিকে রক্ষণাবেক্ষণে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারির পাশাপাশি মাস্টাররোলে ৫জনকে নিয়মিত ডিউটিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কের দেখভালে থাকা জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত সহকারি কুতুব উদ্দিন। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় জনপ্রতি ১০ টাকা করে টিকিটের মাধ্যমে পার্কে প্রবেশ করা যাচ্ছে।

দীর্ঘ দুই দশক পর রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় নতুন আঙ্গিকে গড়ে উঠা রাঙামাটি পাকটিতে মাত্র দশ টাকা এন্ট্রি ফি’র মাধ্যমে বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিনই আগত এলাকাবাসী ও কয়েকশ দর্শনার্থী নির্মল বিনোদনের এমন আয়োজনে ভূয়সী প্রশংসাও করছেন ডিসির।