অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামের সব হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা

0
.

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং সাধারণ রোগীদের সুরক্ষায় প্রতিটি হাসপাতালে হ্যান্ডওয়াশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।

বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কমিটির সদস্যদের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৯১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। পুরোপুরি ভাবে বলতে গেলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে ৫৬৭ জন এসেছে। এদের মধ্যে ৫৬ জন ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরেছে। তাদের আমরা দীর্ঘ সময় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার নিয়েছি। শুধু ফোন নাম্বার নয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তির ফোন নাম্বারও রাখা হয়েছে।

এ সময় শাহরিয়ার কবির বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের যে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি করে দিয়েছি। ৪১টি ওয়ার্ডে আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে এবং মেম্বাররা আছে। আমাদের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে।

নগরবাসীকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েসিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করছি। আরো সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে কীভাবে থাকবে তা পত্রিকায় ও লিফলেট আকারে প্রচার করা হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সর্দি-কাশির কোনো রোগী আসলে তাদের পূর্বের কেস হিস্ট্রি দেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। যদি এমন কোনো কেস হিস্ট্রি পাওয়া যায় তাহলে তাদের সন্দেহাতীত ভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। আর যাদের হোম কো্য়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে তারা সঠিক ভাবে তা পালন করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রামে ঢোকার সময় যে তালিকা করছি তা প্রশাসন হয়ে ইউএনও বরাবর চলে যাচ্ছে এবং আরেকটি তালিকা গোয়েন্দা সংস্থা হয়ে ওসির কাছে চলে যাচ্ছে।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪৮৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য পরিচালক। এর মধ্যে চাঁদপুরে সর্বোচ্চ সংখ্যক এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফেনী। এরপর যথাক্রমে লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা।