অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় ৮ প্রবাসীকে ১ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা

0

করোনাভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্কে নিরাপদ হোম কোয়ারেন্টান অমান্য করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করার দায়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ৮ প্রবাসীকে ১ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে সাতকানিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, মীরশ্বরাই, পটিয়া ও বাঁশখালীতে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

এছাড়া নিষিদ্ধ সময়ে কোচিং ব্যবসা পরিচালনার দায়ে সাতকানিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার ৪ কোচিং সেন্টারকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতালী,চীন, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশ থেকে চট্টগ্রামে আসা প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখানকার বিমান বন্দরে নামার পর থার্মাল স্ক্যানার, হেলথ থার্মার ও হ্যান্ডহেল্ড মিটার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা করোনার লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক ১৪ দিনের জন্য সরাসরি নিরাপদ হোম কোয়ারেন্টানে পাঠিয়ে দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়। কেউ হোম কোয়ারেন্টান অমান্য করলে তাদের জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টান অমান্য করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সাতকানিয়া থেকে সৌদি ফেরত এক প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা, রাউজান থেকে ওমান ফেরত এক প্রবাসীকে ২০ হাজার টাকা, ফটিকছড়ি থেকে ওমান ও সৌদি আরব ফেরত দুই প্রবাসীকে ৫৫ হাজার টাকা, রাঙ্গুনিয়া থেকে আবুধাবী ফেরত এক প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা, মিরশ্বরাই থেকে আমেরিকা ফেরত এক প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা, পটিয়া থেকে সৌদি আরব ফেরত এক প্রবাসীকে ৭ হাজার টাকা ও বাঁশখালী থেকে বাহরাইন ফেরত এক প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টান নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া করোনার কারণে নিষিদ্ধ সময়ে কোচিং ব্যবসা পরিচালনার দায়ে আনোয়ারা উপজেলার ২ কোচিং সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা ও সাতকানিয়া উপজেলার ২ কোচিং সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু হাসান সিদ্দিক ভ্রাম্যমান আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লামহ সর্বত্র লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। একইসাথে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান নিশ্চিত ও অমান্য করলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ।