অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংলাপ নাকি গণতান্ত্রিক ধারায় সংকট উপস্থিত হলেই সংলাপ?”

1

ফসিউল আলম

screenshot_6
.

পৃথিবীতে কোন দেশে আলোচনা বা সংলাপের মাধ্যমে গণতন্ত্র অর্জিত হয়নি, গণতন্ত্র জনগনেরই একক অর্জিত সত্ত্ব। এখানে জনগনই নিরন্তর নিয়ামক। শাসক গোষ্টি জনগনের ইচ্ছাকে কোন একসময় প্রাধন্য দিতে বাধ্য হয়েছিল তখনই বিশ্বে গণতন্ত্র ধীরে ধীরেই প্রতিষ্ঠিত শাসনতন্ত্র হিসাবে একক ও অদ্বিতীয় জনপ্রিয়তা লাভ করে। মূলত জনগনই শাসনতন্ত্রের নির্ধারক। জনগন যেমন চাইবে তা একদিন না একদিন তার দেশে প্রতিফলিত হবে। আর গনতন্ত্রের সুফল অবশ্যই জনগন ভোগ করতে পেরেছে বলেই তো এখন গনতন্ত্রই জনগনের অধিকার ও মুক্তির একক হাতিয়ার হিসাবেই ধরা হয়। জানা মতে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতেও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত রূপ লাভ করেছে দীর্ঘ ত্যাগ তিতীক্ষা, আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই। গনতন্ত্রের মূল শক্তিই হলো রাষ্ট্রের সংগঠিত জনগন। এখানে আলোচনা কখনো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক নয়। হ্যাঁ যখন গণতন্ত্র কোন রাষ্ট্র বা জাতির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বা প্রতিষ্ঠিত রূপ লাভ করে বা রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক মূল্যবোধে একটি সূদৃঢ় অবস্থানে চলে আসে বা রাষ্ট্রে গনতান্ত্রিক সরকার বলবৎ থাকে তখন কোন রকমের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকট উপস্থিত হলে সেখানেই গনতন্ত্র অব্যহত রাখার স্বার্থে সংলাপ অনিবার্য কারন সংলাপ বা আলোচনা ব্যতীত গনতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখার ক্ষেত্রে গনতান্ত্রিক সরকার বা বিরোধী দলের আর কোন বিকল্পও থাকে না। কিন্তু যেখানে গনতন্ত্রই নেই সেখানে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় কথা। এতে অগনতান্ত্রিক শাসকের সাথে সংলাপ একটি প্রতরনামূলক প্রহসন কারন যদি অগনতান্ত্রিক সরকার গনতন্ত্রেরই বিশ্বাসী হয় বা হতো তবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কখনই অগনতান্ত্রিক ধারায় সরকার যাবে না ও দেশকে সংকটে ফেলবে না এবং তারা এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই সংলাপের মাধ্যমে তা অবশ্যই নিরসন করবে যাতে কোনভাবে দেশে গনতন্ত্র ব্যহত না হয় বা চলমান গনতান্ত্রিক ধারা চলমান থাকে। আর যখনই গনতন্ত্র ধারাকে রহিত করে অগনতান্ত্রিক অবৈধ সরকার ইতিমধ্যে তিন বছর পার করার পথে সেখানে “গনতন্ত্র পূর্নপ্রতিষ্ঠা” বা গনতান্ত্রিক ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই তার জন্য জনগনকে সংগঠিত করা ও তার সপক্ষে জনমত তৈরী করে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম বা আন্দোলন ভিন্ন আর কোন পথ খোলা থাকে না। এখানে যারাই সংলাপের কথা বলে তারা হয় বুঝে না নতুবা পাগল সজে মধুবিক্রিতার পাত্রের মধু খেয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি, এই মুহূর্ত বর্তমানের সার্বিক পরিস্থিত অবলোকন করলে যে কোন সুস্থ মানুষ অনুধাবন করবে যে দেশে গনতন্ত্র নেই যা নিহত হয়েছে সেই ৫ ই জানুয়ারী ইলেকশানের পরপরই। আর তাই এদেশে গনতন্ত্র পূর্নপ্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপ নয় প্রয়োজন জনমত তৈরী সাপেক্ষে জনগনকে সংগঠিত করে আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হওয়া, কারন হলো একমাত্র গনতান্ত্রিক ধারা যেখানে চলমান সেখানেই সংকট সমাধানে সংলাপের প্রশ্ন উঠে কিন্তু গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবশ্যই জনমত তৈরী, জনগনকে সংগঠিত করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে অধিকার আদায় করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

১ টি মন্তব্য
  1. ফসিউল আলম বলেছেন

    ধন্যবাদ ভাই।