অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশের সকল সংকটকালে আওয়ামীলীগ লুটপাতে ব্যস্ত থাকে-বক্কর

0
.

করোনা মহামারিতে গার্মেন্টসসহ কলকারখানা খুলে দিয়ে সরকার দেশকে মৃত্যু উপাত্যকায় পরিণত করতে চাইছে। হাতে সময় থাকার পরও সরকার করোনা মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে শিল্প এলাকাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার একবার গামের্ন্টস বন্ধ করছে, করোনার ভিতর আবার খুলছে, এখন আবার গার্মেন্টসহ কলকারখানা খুলে শ্রমিকসহ সারাদেশের মানুষকে করোনা সংক্রমণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

তিনি আজ শনিবার ( ২ মে) নগরীর এনায়েত বাজার বাটালী রোডস্থ নিজ বাসভবনে নগরীর অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের নিকট হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ও খরের পালার মধ্যে চাল, খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মসাৎ করছেন। প্রতিদিন সারাদেশে ত্রাণের চাল, ডাল ও তেল ধরা পড়ছে। আওয়ামী দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিরা গরীবের ত্রাণের চাল চুরি উৎসবে মেতে উঠেছে। তখন তা জনগণের তোপের মুখে পড়ার ভয়েই সচিবদের ত্রাণ বন্টন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের সকল সংকটকালীন মুহুর্তে আওয়ামীলীগ জনগণের কথা না ভেবে লুটপাতে ব্যস্ত হয়ে যায়। সচিবদের ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দিয়েও রক্ষা নাই। আওয়ামীলীগের এমপিরা জনগণের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রাণ থেকেও ভাগ বসাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৪ বছর ক্ষমতার বাহিরে থেকে রাষ্ট্রীয় আওয়ামী সরকারের রোষানালে পড়ে বিএনপির নেতাকর্মী দের বিরুদ্ধে সারাদেশে ৯৫ হাজার মামলা, ৭০ লক্ষ আসামী, গুম-খুনের শিকার হয়েও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন নিজস্ব অর্থায়নে গরীব অসহায় মানুষের পাশে অবস্থান নিয়েছে। সাধ্যটুকু দিয়ে তাদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ত্রাণ হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-শ্রম সম্পাদক আবু মুছা, সদরঘাট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নগর যুবদল নেতা নওশাদ, মো. রাশেদ, মো. রিয়াদ প্রমুখ।