অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জীবিকার তাগিদে রাষ্ট্রীয়ভাবে জীবনকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে: ডা: শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনা সংক্রামণ বাংলাদেশে দিন দিন যত বাড়ছে লকডাউন ততই বেশি শিথিল হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খুলে দেয়া, শপিং মল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রতীয়মান হয় রাষ্ট্র এখন জনগণের হার্ড ইমিউনিটি সৃষ্টি করার অপেক্ষায় আছে। হার্ড ইমিউনিটি হচ্ছে লকডাউন শিথিল করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক মানুষ করোনা যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করবে। কিন্তু হয়তোবা বহুলাংশ মানুষ করোনা রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করবে।

তিনি বলেন, করোনা যুদ্ধে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে বাংলাদেশের বিরাট একটা জনগোষ্ঠীকে হয়তবা এটার মাশুল দিতে হচ্ছে। ঘরে ঘরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ না পৌঁছার কারণে নিন্ম আয়ের মানুষ আজকে জীবনকে বিসর্জন দিয়ে জীবিকার সন্ধানে বেরিয়েছে।

তিনি আজ ৫ মে, মঙ্গলবার, দুপুরে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ও ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্রদের জন্য ৫ শতাধিক পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী হস্তাšন্তকালে এবং বিভিন্ন পেশার ও অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত আরো বলেন, দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই এই মুহূর্তে সবাইকে ঘরে থেকে বের না হয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল আলম, বিএনপি’র উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, কোতয়ালী থানা বিএনপি’র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, নগর বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মেহেদী, ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি খাজা আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী সাইফুল, সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিউল্লাহ, কাউন্সিলর প্রার্থী সৌরভ শাহীন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনোয়ার হোসেন, এরশাদ, রাজিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এর পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা সচেতনামূলক মূলক লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।