অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কাকরাইল মসজিদ এলাকা থেকে জেএমবির ১৭ সদস্য গ্রেফতার

0
.

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা কৌশলে তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ভিড়ে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বলে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের ভাষ্য।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এডিসি তহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় কাকরাইল মসজিদের উল্টো দিকে পাবলিক হেলথ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. হায়দার আলী (৪৪), মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে মাসুম, মো. জামিরুল ইসলাম (২৪), মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. শেখ আরাফাত ওরফে জনি (৪৮), মো. ইমরুল হাসান ওরফে ইমন (২৫), মো. সাইফুল ইসলাম (২৫), মো. মোজাম্মেল হক (৩৩), মো. শাহজালাল (৩৪), মো. আক্তারুজ্জামান (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩), মো. আবিদ উল মাহমুদ ওরফে আবিদ (২২), মো. সোহাইল সরদার (৩৩), মো. ওবায়দুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩০), মাহমুদ হাসান ওরফে শরীফ (১৮), মো. মাজেদুল ইসলাম ওরফে মুকুল (২৮) ও মো. সোহাগ হাসান (২০)।

তাদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল ফোন, দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং ৯২২ ডলার জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তহিদুল বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে তারা জেএমবির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।”

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এডিসি তহিদুল বলেন, মোস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান নামে এক ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে যান এবং এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন। তিনি নিজেকে ‘ইমাম মাহাদীর সৈনিক’ দাবি করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন এবং মানুষকে কথিত জিহাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অডিও ভিডিও প্রচার করেন।

“গ্রেফতার এই ১৭ জন তার বক্তব্যে উদ্ভুদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল।”

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ‘হিজরতের’ সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কৌশল হিসেবে তাবলিগ-জামায়াতের দলে ভিড়ে যায়।

“তাদের ইচ্ছা ছিল তাবলিগ পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরা বা বেনাপল সীমান্ত হয়ে ভারত-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছাবে। সেজন্য ১৮ মার্চ তারা প্রথমে সাতক্ষীরা এবং পরে যশোর সীমান্তের কাছে বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করেন। কিন্তু সেদিক দিয়ে সীমান্ত পার হতে না পেরে ঢাকা হয়ে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সেজন্যই তারা ঢাকায় এসে কাকরাইল এলাকায় অবস্থান করছিল।”

এডিসি তোহিদ বলেন, এর আগে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র গত জানুয়ারি মাসে ওমরাহ করার জন্য সৌদি আরবে গিয়ে আর ফেরেননি। তারাও মোস্তাক মুহাম্মদ আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে পুলিশ পরে জানতে পেরেছে।